medical news today

শেষ সপ্তাহের মেডিকেল ভর্তি প্রস্তুতি যেভাবে নেওয়া উচিত

শেষ সপ্তাহের মেডিকেল ভর্তি প্রস্তুতি যেভাবে নেওয়া উচিত

শেষ সপ্তাহের মেডিকেল ভর্তি প্রস্তুতি যেভাবে নেওয়া উচিত সে বিষয়ে আলোচনা করেছেন মো নোমান ইসলাম নিরব, যিনি এখন রংপুর মেডিকেল কলেজের পঞ্চম বর্ষের একজন ছাত্র। তার অভিজ্ঞতা থেকে নিচের প্রবন্ধ লিখেছেন।

শেষ সপ্তাহের মেডিকেল ভর্তি প্রস্তুতি নিয়ে বলেছেন মোঃ নোমান ইসলাম নিরব
মো নোমান ইসলাম নিরব

মেডিকেল ভর্তি পরিক্ষা প্রস্তুতির শেষ সপ্তাহে কিভাবে পড়বেন?

অনেকেই অনেক ভাবে পরামর্শ দিবে, মানে রাস্তা সবাই দেখাতে জানে, তবে সেই কন্টাকির্ন রাস্তায় আপনার একাই হাটতে হবে। আমি কিছু পরামর্শ শেয়ার করব যা আমি নিজে অনুসরণ করেছিলাম, যদি আপনাদের কারো ভালো লাগে ফলো করতে পারেন অথবা এটা থেকে আইডিয়া নিয়ে নিজের মত একটা প্লান সাজিয়ে ফেলুন।

  1. পরীক্ষার শেষ মুহুর্তে কোন নতুন কিছু পড়ার দরকার নেই।
  2. যেগুলো পড়েছেন সেগুলোই বারবার পড়বেন।
  3. সহজ যিনিস ভুল করা বোকামি, কঠিন জিনিস প্রায় অনেকেরই ভুল হয়।
  4. শেষ সাতদিন কে তিনটি ভাগে ভাগ করেন। ৪+২+১ দিন, আমি এভাবে ভাগ করেছিলাম।
  5. প্রথম দিন, সাধারণ জ্ঞান, ইংরেজি, ও দ্বিতীয় দিনে পদার্থ বিজ্ঞান রিভাইজ করে ফেলেছিলাম। তৃতীয় দিনে কেমিস্ট্রি শেষ করেছি, চতুর্থ দিনে বায়োলজি শেষ করেছি। অর্থাৎ শেষ সাতদিনের প্রথম চারদিনে একবার রিভাইজ শেষ করেছিলাম। এরপর মাঝখানের দুইদিন অর্থাৎ পঞ্চম ও ষষ্ঠ তম দিনে আরেকবার রিভাইজ শেষ করেছি। পঞ্চম দিনে পদার্থ, ইংলিশ ও সাধারণ জ্ঞান শেষ করেছি, ষষ্ঠ তম দিনে বায়োলজিরসায়ন শেষ করেছি। এবার আসি ঠিক আগের দিন, সপ্তম দিনে পদার্থ রসায়ন জীব বিজ্ঞান শুধু পড়েছিলাম। এবং একদিনেই তিনটি বই রিভাইজ শেষ করেছিলাম।

তোমরা আমাদের ফেসবুক গ্রুপ এ জয়েন করতে পারো, বিভিন্ন তথ্য, মডেল টেস্ট ইত্যাদি সহায়তার জন্যে।

আমাদের গ্রুপে যোগ দিন

অনুরোধে, নোমান ইসলাম নিরব

শেষ মুহুর্তের মেডিকেল ভর্তি প্রস্তুতি ২০২১-২০২২

শেষ সময়ে অনেক গুলো বই পড়া যাবেনা, একবার এটা আরেকবার আরেকটা এভাবে চেঞ্জ করলে সময় নষ্ট হবে, এক/দুটি বই ভালো করে শেষ কর,বারবার রিভাইজ কর।

প্রতি ৩০-৬০ মিনিটে একটা চ্যাপ্টার শেষ করে দাও। চ্যাপ্টার শেষ করে উক্ত চ্যাপ্টারের শেষে বোর্ড বইয়ে দেওয়া অনুধাবন মুলক প্রশ্ন গুলোর মদ্ধে ২০/৩০ টি দ্রুত দাগিয়ে ফেল, তারপর নিজেই চেক করে দেখো, নেগেটিভ মার্ক বাদ দিয়ে কত মার্কস পেলে, এভাবে বারবার রিভাইজ করবে আর বারবার পরীক্ষা দিবে। বইয়ের শেষে ছাড়াও, কোচিং এর মডেল টেস্ট, প্রাক্টিস বুক, বিভিন্ন বইয়ে, অনেক প্রশ্ন ভাবে সেগুলো দিয়ে বেশি এক্সাম দাও। ৩ ঘন্টা পড়বে ২০ মিনিট এক্সাম দিবে আবার পড়া শুরু করবে। যেগুলো ভুল হবে সেই টপিকস টা একবার দেখে নাও।

যেই বিষয় মনে থাকতেছেনা, অনেক সময় লাগতেছে, সেগুলো আর পড়ার দরকার নাই। যেমন আমি মেডিকেল ভর্তি পরিক্ষার জন্যে কোন সিনোনিম এন্টোনিম পড়িনি। ইংলিশ ও সাধারণ জ্ঞান টাই কম গুরুত্ব দিয়ে বোর্ড বই বেশি ফোকাস করেছিলাম, কেননা আমি ভাবতাম বোর্ড বইয়ে ৭৫ মার্কস, আমি যদি বোর্ড বইয়ে ৭৫ কারেক্ট করতে পারি তাহলেই চান্স হয়ে যাবে। সে বকছর ২০১৬-১৭ বর্ষে কাট মার্ক্স ছিল ২৬৩ সম্ভবত। আলহামদুলিল্লাহ আমার চান্স হয়ে যায় ২৬৮ মার্কস পেয়ছিলাম।

ভর্তি পরীক্ষার আগেরদিন কি পড়বেন?

অনেকেই বলবে শেষের দিন পড়তে হবেনা, চিল থাকো। আমি সেটি বলবো না, কেননা আমি নিজেই শুনিনি কারো কথা। পরীক্ষার ঠিক আগের সপ্তাহে প্রায় টানা ১৮ ঘন্টার মত পড়েছিলাম প্রতিদিনই। তবে অন্য সময় গুলো মানে ভর্তি পরীক্ষার প্রস্তুতি নেওয়ার সময় দৈনিক ১৪ ঘন্টা (গড়ে) পড়তাম। তবে মাথায় রেখো সবার আগে সুস্থ থাকতে হবে, সুস্থ থেকে যতটা পড়তে পারো পড়ে নাও, বাধা নাই, আজকের রাতের অমানুষিক প্ররিশ্রম এনে দিতে পারে জীবনের সবচেয়ে বড় সফলতা। আরো জানতে দেখুন – এখানে

যারা কোচিং বা প্রাইভেট এ মডেল টেস্টে কম মার্কস পাচ্ছ তাদের জন্য

অনেক স্টুডেন্ট কোচিং ভালো করছে মেডিকেল ভর্তি পরিক্ষার ফলাফলের দিন তাদের খুজেও পাওয়া যায়না, তাই যারা কোচিং এ ভালো করতেছা তোমরা আরো পরিশ্রম কর। পরিশ্রম যেন বৃথা না হয়, আবার যারা খারাপ করতেছো তোমরা আরেক্টু বেশি চেষ্টা কর। কোচিং এ অনেক কম মার্কস পেয়েও মেডিকেল ভর্তি পরীক্ষায় চান্স পায়।

কোচিং এর ভর্তি পরীক্ষায় বা যেকোন মডেল টেস্ট পরীক্ষায় কেমন মার্কস থাকা নিরাপদ।

আমার মতে মডেল টেস্ট পরীক্ষায় ৭০% বা এর বেশি মার্কস থাকা অনেকটা নিরাপদ।

আরও পড়ুন-

Leave a Comment