মেডিকেল ভর্তি পরীক্ষার আগের দিন ও পরীক্ষার দিন কি করবেন

মেডিকেল ভর্তি পরীক্ষার আগের দিন কি করবেন?

১. মেডিকেল ভর্তি পরীক্ষার কমপক্ষে ২ দিন আগে প্রিপারেশন শেষ করে ফেলো।মেডিকেল পরীক্ষার ঠিক আগের দিনটিতে পড়ালেখা করার কোন দরকার নেই বলবোনা, তবে ব্রেইনকে চাপ দেওয়া যাবেনা তাই রিল্যাক্স মুডে থাকতে হবে। নিজের সিট কোথায় পড়লো, সেটা একবার দেখে নিতে পারা ভালো। তাহলে পরীক্ষার দিন সকালে আর টেনশন হবেনা। ১ ঘন্টায় জিরো থেকে হিরো হয়ে যাবে তাই ১ ঘন্টা পরিক্ষা যেন ঠান্ডা মাথায় দিতে পারো সো কোন স্ট্রেস নিয়োনা।

২. মেডিকেল বা ভার্সিটির যেকোন পরীক্ষার প্রশ্ন পত্র ফাইনাল পরীক্ষার আগের রাতে আউট হয়েছে -এরকম খবর থেকে দূরে থাকবে আর শুনলেও বিচলিত হওয়া যাবেনা। তোমার প্রস্তুতি নেয়া থাকলে কেউ আটকাতে পারবে না তোমার চান্স পাওয়া কে, ভেবে নাও এটি মেধা যুদ্ধের ময়দান, যেখানে মেধা দিয়ে অন্যকে হারাতে হবে টাকা দিয়ে প্রশ্নপত্র কিনে পরীক্ষা দেওয়াতে ক্রেডিটের কিছু নেই। আল্টিমেটলি এগুলোর ক্ষেত্রে বেশিরভাগ তথ্যই গুজব।

মেডিকেল ভর্তি পরীক্ষার দিন কি করবেন?

১. যেখানে সিট পড়েছে, সেই হল খুলে দেবার সাথে সাথেই রুমে প্রবেশ করুন আর ধীরস্থির হয়ে বসে প্রয়োজনীয় জিনিসপত্রগুলো যেমন কলম, পেন্সিল, ইরেজার, প্রবেশপত্র, ক্যালকুলেটর (যদি নিতে দেয়)ইত্যাদি গুছিয়ে নিন। প্রশ্নপত্র হাতে পাওয়ার পর সাবধানতার সাথে ঘরগুলো পূরণ করুন। কোন অবস্থাতেই যেন ও.এম.আর (OMR) ফরমের নির্ধারিত ঘরগুলো পূরণে ভুল না হয়।

২. প্রথম ত্রিশ মিনিটে সহজ ৫০-৬০ টি প্রশ্নের উত্তর দিয়ে ফেলতে হবে। পরের বিশ মিনিটে বাকী ৩০-৩৫ টি প্রশ্নের উত্তর দিতে হবে।

৩. শেষ ১০ মিনিটে রিভিশন দিন এবং কনফিউশান উত্তর গুলো দেওয়ার চেষ্টা করবেন তবে ১০০% দাগাতে হবে এমন ভাববেন না, আমি ৮৫ দাগিয়ে চান্স পেয়েছি।

৪. একটি প্রশ্ন না পারলে সেটির পিছনে সময় নষ্ট না করে পরের প্রশ্নে চলে যাবেন।

৫. যেই প্রশ্নের সব অপশন অপরিচিত সেগুলো না দাগানোই উত্তম।

৬. যেই প্রশ্নের তিনটি অপশন বুঝতে পেরেছেন যে এটি হবে না তা হলে চতুর্থটিই হবে উত্তর।

৭. যে প্রশ্নে দুটি বুঝতে পেরেছেন যে হবেনা, কনফিউশান থাকবে বাকি দুটি অপশনে তখন মনের জোর যেদিকে সেটিকে দাগাবেন।

৮. তবে অবশ্যই ৮০ টির নিচে দাগানো বোকামি হবে। আবার কমন নেই ১০০ টিই দাগিয়ে আসছেন সেটিও বোকামি।

৯. একঘন্টা সময় আপনার জীবন বদলে দিবে নতুন রংগে

Leave a Comment