মেয়েদের যোনিতে চুলকানি হলে করণীয়

কোন রোগে কোন ঔষধ খাবেন ও কি করণীয়

কোন রোগে কোন ঔষধ শিরোনামে আজকের এই পোস্টে আলোচনা করব খুব প্রচলিত ও কমন কিছু মেডিসিন নিয়ে, যেগুলো আমরা সচরাচর বাসায় ব্যাবহার করে থাকি। চিকিৎসকের ভাষায় যেসব ঔষধগুলোকে ওটিসি বা অভার কাউন্টার ড্রাগস বলা হয়। যেইসব ঔষধ কিনতে প্রেস্ক্রিপশনের প্রয়োজন পড়েনা।

কোন রোগে কোন ঔষধ

প্যারাসিটামল

জেনেরিক নাম- প্যারাসিটামল
ট্রেড নাম – নাপা, এইস, রেনোভা, এক্সপা ইত্যাদি নামে পাওয়া যায়। এর বিভিন্ন স্ট্রেংথ আছে ৫০০,৬৬৫,১০০০ মিগ্রা।

প্যারাসিটামল কোন রোগে দেওয়া হয়

প্যারাসিটামল সাধারণত জ্বর কমানোর জন্যে দিয়ে থাকি। প্যারাসিটামল ৫০০ মিলিগ্রাম দিনে তিনাবার খাওয়া যাবে জ্বর হলে, অতিরিক্ত জ্বর হলে মলদ্বারে সাপোজিটোরি হিসেবে দিলে দ্রুত জ্বর কমে যায়। তবে জ্বর আসলে কুসুম গরম পানিতে কাপড় ভিজিয়ে শরির মুছে দিতে হবে কিছুক্ষণ পরপর। শুধু প্যারাসিটামল খেলেই সব জ্বর কমবেনা, বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক এর পরামর্শ অনুযায়ী এন্টিবায়োটিক নিতে হবে এর সাথে, তাহলেই দ্রুত উপশম হবে।
প্যারাসিটামল জ্বর ছাড়াও বিভিন্ন ধরনের ব্যাথা কমায়, মাইগ্রেন কমায়।

কিডনি ও লিভার এর বিভিন্ন জটিলতায় ভুগতেছেন তাদের জন্যে নিজে নিজে প্যারাসিটামল ট্যাবলেট ও খাওয়া যাবেনা, বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক এর পরামর্শ নিয়ে খেতে হবে।

মন্টিলুকাস্ট ১০ মিলিগ্রাম

জেনেরিক নাম : মন্টিলুকাস্ট ১০ মিলিগ্রাম,
ব্রান্ড নাম: মোনাস ১০, এমকাস্ট ১০, অডমন ১০, লুমনা ১০, ইত্যাদি নামে পাওয়া যায়।

মন্টিলুকাস্ট ১০ মিলিগ্রাম ট্যাবলেট অ্যাজমা(হাপানি), সিওপিডি, অনেকদিনের শুকনো কাশি, সকালে বা রাতে বেশি কাশি হয়, এগুলো সমস্যার জন্যে এই ট্যাবলেট টি খাওয়া যায়, শুরু করার পুর্বে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক দেখিয়ে আগে রোগ নির্ণয় করে নিন এবং উনার পরামর্শ মেনে সেবন করুন।

ওমিপ্রাজল

ওমিপ্রাজল ২০ মিলি গ্রাম
ব্রান্ড নামঃ সেকলো, ওমেটিড, পিপিআই, ইত্যাদি নামে পাওয়া যায়।
মানুষ সবচেয়ে বেশি এন্টি আলসারেন্ট ঔষধ খেয়ে থাকে। এসিডিটির জন্যে এটি একটি ভালো চয়েজ। তবে দীর্ঘদিন খেলে বিভিন্ন ধরনের রক্তস্বল্পতা, এবং অন্যান্য সমস্যা হওয়ার ঝুঁকি থাকে, তাই অল্পদিনের জন্যে খাওয়াই উত্তম যদি খুব বেশি প্রয়োজন না হয়। চিকিৎসক এর পরামর্শ নিন খাওয়ার আগে।

ফ্লুনারিজিন হাইড্রোক্লোরাইড

ফ্লুনারিজিন হাইড্রোক্লোরাইড
ব্রান্ড নাম: নরিয়াম, ফ্লুবার, ফ্লুজিন ইত্যাদি নামে পাওয়া যায়। মাথাব্যাথা, বিশেষ করে মাইগ্রেনের সমস্যার জন্যে এটি প্রেসক্রাইব করা হয়। যাদের মাইগ্রেনের সমস্যা আছে তারা মেডিসিন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক এর পরামর্শ নিয়ে এই ঔষধ খেতে পারেন।

জ্বর হলে কি করবেন এবং কি ঔষধ খাবেন?


জ্বর হলে প্রথমে জ্বর মাপবেন, কাগজে লিখে রাখবেন, (বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক এর পরামর্শ নেওয়ার সময় দেখাবেন)। হালকা কুসুম গরম পানি দিয়ে শরীর বারবার মুছে দেন হালকা জ্বর হলে কমে যাবে। প্যারাসিটামল ট্যাবলেট খেতে পারেন। খুব বেশি জ্বর হলে বা জ্বরের সাথে কাপুনি থাকলে সাপোজিটরি ব্যাবহার করতে পারেন তবে এক্ষেত্রে আপনারা বাসায় এক্সপেরিমেন্ট না চালিয়ে, ইন্টারনেট এ চিকিৎসা না খুজে খুব দ্রুত হাসপাতালে ভর্তি করান,এবং বিশেষজ্ঞ ডাক্তার এর পরামর্শ নিন।

কন্সটিপেশন (শক্ত পায়খানা) হলে কি ঔষধ খাবেন?

কন্সটিপেশন (শক্ত পায়খানা) হলে প্রথমেই ঔষধ খাওয়ার আগে কিছু নিয়ম মেনে চলুন-

  1. স্ট্রেস কমান,
  2. বেশি বেশি পানি পান করুন,
  3. প্রতিদিন, প্রতিবার খাবারের সাথে শাক জাতীয় খাবার রাখুন, মাংস কম খান
  4. প্রতিদিন একই সময়ে খাবার খাবেন, একই সময়ে ঘুমোতে যাবেন।
  5. প্রতিদিন অন্তত ৪৫ মিনিট এক্সারসাইজ করুন অথবা হাটুন।

উপরের নিয়মগুলো মেনে চলার পরেও কন্সটিপেশন (শক্ত পায়খানা) হলে চার চামচ ইসপগুলের ভুষি ১ গ্লাস পানিতে মিশিয়ে খাবেন প্রতিদিন রাতে। এর পরেও না কমলে গ্যাস্ট্রোএন্টেরোলজি বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক এর পরামর্শ নিন।

ডায়রিয়া হলে কি করবেন বা কি ঔষধ খাবেন?

ডায়রিয়া হলে প্রথমে খেয়াল করবেন ডায়রিয়া টা কেমন, কতবার পায়খানা হচ্ছে, পরিমাণ কতটুকু, চোখ ভিতরে ঢুকে গেছে কি, অল্প ডায়রিয়ায় শুধু মাত্র ওরাল স্যালাইন খেলেই সেরে যাবে, আর যদি ডায়রিয়া সিভিয়ার রুপ নেয়, অবশ্যই হাসপাতালে ভর্তি করতে হবে, কেননা ডায়রিয়ায় ফ্লুইড লস হয়ে ডিহাইড্রেশন ডেভলপ করার ফলে যেকোন সময় মারা যেতে পারে। তাই সময় থাকতে সাবধান।

ডায়রিয়ার বাসায় যে চিকিৎসা করতে পারেন – শুধুমাত্র ওরাল স্যালাইন, তারপর চিকিৎসক পরামর্শ নিয়ে স্যালাইন, এন্টিবায়োটিক ইত্যাদি নিতে হবে।

Leave a Comment