Doctors Gang logo

PLAB (প্ল্যাব) নিয়ে ডা সেতু ভৌমিক এর অভিজ্ঞতা ও পরামর্শ

PLAB (প্ল্যাব) নিয়ে ডা সেতু ভৌমিক এর অভিজ্ঞতা ও পরামর্শ

জ্বী আপনি এডিট করে নিতে পারেন।তবে পোস্ট করার আগে আমাকে একবার যদি দিতে পারেন,তাহলে ভালো হয়।

লেখকঃ

ডাঃ সেতু ভৌমিকইন্দিরা গান্ধী মেমোরিয়াল হাসপাতাল,মালদ্বীপ।

সেই ফিফথ ইয়ার থেকে একটু একটু করে সাহস করে প্ল্যাবের স্বপ্ন দেখি।তখন শুধু আশাটাই ছিলো,কিন্তু হাতে কোনো টাকা ছিলোনা।শুধু একটাই ভাবনা ছিলো তখন, কোনোভাবে হয়তো টাকা জোগাড় হয়ে যাবে।আস্তে আস্তে এরপর প্রফ পাশ করি,ডাক্তার হই।ইন্টার্নিতে ঢুকে আস্তে আস্তে টাকাও গুছানো শুরু করি আর সাথে সাথে সমান তালে প্ল্যানিং চলতে থাকে।

OET Journey

ইন্টার্নির পর থেকেই শুরু হয় আমার আসল যাত্রা।OET এর প্রিপারেশন নেয়া শুরু করি,আর চারপাশে সকলের সাফল্যের গল্প দেখে ভাবতে থাকি OET সহজ পরীক্ষা।আর ভুলটা সেখানেই করি,৩ মাস হাতে রেখে পরীক্ষা বুকিং দেই।পরীক্ষা দেই অক্টোবর,২০১৯ এ।
কিন্তু ভাগ্য সহায় হলো না,রিডিং এ ৩৩০ এ আটকে যাই।এতো টাকার পরীক্ষায় ফেল করে তখন বার বার আফসোস হতে থাকলো আরো কিছুদিন পর হয়তো পরীক্ষা দিলে ভালো করতাম।এরপর বুঝে শুনে সিদ্ধান্ত নিয়ে আবার বুকিং দেই জানুয়ারি, ২০২০ এ। প্রিপারেশনে এ সময়ে কোনো কমতি রাখি নি,রিডিং প্র‍্যাক্টিস করতে থাকি মন লাগিয়ে,আর রিডিং এ ভালো ও করি এবার। রেজাল্ট দেখে নিজেই অবাক হয়ে যাই।রিডিং আটকে যাওয়া সেই আমি পরের বারই স্কোর করলাম ৪০০।কিন্তু ভাগ্য তো সহায় নয় এবারো।স্পিকিং এ আটকে গেলাম ৩৩০ এ,যেটা কিনা সবচেয়ে সহজ পার্ট OET এর।রিমার্কের জন্য ট্রাই করলাম আর ততদিনে জমানো পুজিও শেষ।ছোট খাটো ক্লিনিকে জব করি তখন,টাকাও যতসামান্য।তা দিয়ে আমার এই বড় স্বপ্নের পালে হাওয়া লাগে না,তারপর আবার ফেলের পর ফেল। রিমার্কেও পাস মার্ক এলো না,কানের উপর দিয়ে গুলি গেলো।রিমার্কে আসলো ৩৪০।এর পর যা হবার তাই,কনফিডেন্স ভেংগে চুরমার।টাকা নেই,ভালো চাকরি নেই।দুইবার পরীক্ষায় বসা শেষ।।তারপর ও সিদ্ধান্ত থেকে পিছে চলে আসি নি।শুধু মনে হয়েছে এর শেষ দেখেই ছাড়তে হবে।
এরপর কোভিড এলো,সব পরীক্ষা বন্ধ হয়ে গেলো।ততদিনে চাকরি করে নিজের কিছু টাকা হলো আর মায়ের জমানো কিছু টাকা দিয়ে আবার বুকিং দিলাম।সেই পরীক্ষা কোভিডের কারনে পিছাতে পিছাতে গিয়ে ঠেকলো অক্টোবর,২০২০ এ।ততদিনে কাউকে বলার মুখ ও নেই আমার প্ল্যানিং কি,কি করছি আমি।মা বাবা ততদিনে আমাকে নিরবে সাপোর্ট দেয়া শিখে ফেলেছে  আর চারপাশে দেখতে লাগলাম সবাই কতখানি এগিয়ে গেছে।তবু কোনকিছু গায়ে না লাগিয়ে নিজের পথেই হাটতে থাকলাম।
এবার অক্টোবর এর রেজাল্ট যখন আসলো, তখন মনে হলো এবার শুধু আমার টাকা গুলো না,মায়ের টাকা গুলো ও জলে গেলো।স্পিকিং এ ৩৪০।রেজাল্ট কাউকে আর জানানোর সাহস পেলাম না,বাসায় ও না।রিমার্কে চলে গেলাম।এই রিমার্কের ১২০ AUD জোগানোও যে আমার জন্য কতটা কষ্টসাধ্য ছিলো তা বলে বুঝাতে পারবোনা।এবার রিমার্কের রেজাল্ট আসলো আমার বিয়ের ৭ দিন আগে।সম্ভবত বিয়ের জোরেই ভাগ্য বদলালো কিনা বলতে পারি না,নাকি এবার ঈশ্বরের মনে আমার জন্য মায়ার সঞ্চার হলো সেটাও জানিনা,রিমার্কে স্পিকিং এ আসলো ৩৬০।
অতঃপর ১ বছর ৩ মাস পর আমি সফল ভাবে OET পাস করলাম।যারা কিনা বলে, এটা সহজ পরীক্ষা তারা নিজেও জানে না এটা বলে অন্যের কতটা ক্ষতি তারা করে।

PLAB part 1

এবার পাস করে ১.৫ মাসের মতো অপেক্ষা করলাম শুধু সিট বুকিং এর অপেক্ষায়।জানুয়ারি,২১ এ প্ল্যাব ১ বুকিং দিলাম আগস্ট,২১ এর জন্য।কত কষ্টে পাওয়া এ সিট সে শুধু আমি জানি।সিট বুকিং দিতে পারাটাই হচ্ছে আরেকটা পরীক্ষা পাশের মতো অবস্থা।মিনিটে যেখানে সিট শেষ হয়ে যায় অসংখ্য অসংখ্য ক্যান্ডিডেট এর ভিড়ে।
বুকিং এর পালা শেষ। এরপর আস্তে আস্তে পড়া গুছানো শুরু করলাম।এর মধ্যে মালদ্বীপ এর চাকরিটা হলো অনেক কাঠ খড় পুড়িয়ে। এরপর মালদ্বীপ এসে সময়মতো ওয়ার্কভিসা না পাওয়ায় আর নতুন দেশে একা এসে খাপ খাওয়াতে না পেরে পড়াশোনার বারোটা বাজলো,তার উপর কপাল গুণে এসে পোস্টিং পড়লো  সবচেয়ে বিজি হাসপাতালে।ফলাফলস্বরুপ পরীক্ষা ক্যান্সেল করতে হলো, টাকাও গেলো গচ্ছা।তবে এবার আর টাকা নিয়ে চিন্তা হলো না,কারণ এদ্দিনে ভালো একটা চাকরি হওয়াতে টাকার চিন্তা অনেকটাই কমে গিয়েছে আমার।
মালদ্বীপ আসার পর থেকেই পড়াশোনা থেকে অনেকটা দূরে সরে পড়ি।এরপর ক্যান্সেল করার পর থেকে আর কনফিডেন্স ও পাচ্ছিলাম না খুব তাড়াতাড়ি বুক করার। বিচ্ছিরি OET এর ইফেক্ট ছিলো এটা।এরপর ধীরে সুস্থে বুক করি ফেব্রুয়ারি,২০২২ এর জন্য।অনেকটা সময় নষ্ট হয়ে গেছে ততদিনে সেই ২০১৯-২০২২।কিন্তু তখনো সফলতার ঝুড়ি খালি।

অক্টোবর,২১ এর শেষে বুকিং দেই, হাতে ছিলো ৩ মাস পড়াশোনার জন্য।যখন বুকিং দেই তখন আমি কোভিড আক্রান্ত।সেই ১৪ টা দিন আমার জন্য আশীর্বাদ হয়ে এসেছিলো।আমি বুঝতে পেরেছিলাম, এই সময়টাকে আমার কাজে লাগাতে হবে,আর নয়তো যে চাকরি করি তাতে ৩ মাস আমার জন্য যথেষ্ট সময় নয়। যথাসম্ভব সময়টাকে কাজে লাগিয়ে আমি তখন পড়াশোনা করি।এরপর যখন আবার নতুন করে কাজে জয়েন করি,তখন বুঝতে পারলাম দিনে ১ ঘন্টাও পড়ার জন্য সময় বের করা আমার জন্য কতখানি টাফ।১০-১১ ঘন্টার একটা হেকটিক ডিউটি শেষ করে এসে,নিজের একটা ছোট্ট সংসার সামলে পড়াশোনা কর‍তে গিয়ে আমি এবার হিমশিম খেয়ে যাই।কোনদিন ১ ঘন্টা,কোনদিন হয়তো ২ ঘন্টা কিংবা কোন কোনদিন পড়ার জন্য ১ মিনিট ও ম্যানেজ হয়ে উঠতো না আমার।রাত জাগা শুরু করে দিলাম,ইভিনিং ডিউটি থেকে বাসায় আসতে আসতে বাজতো রাত ২ টা নাগাদ।তখনো চেষ্টা করতাম বাসায় এসে অন্তত ১-২ ঘন্টা না পড়ে ঘুমানো যাবে না।
সপ্তাহে যে একটা দিন ছুটি পেতাম সেই একদিনে সারা সপ্তাহের রান্না শুরু করলাম।কখনো দশ আইটেম,কখনো চৌদ্দ আইটেম রান্না করে বাকি সপ্তাহের টাইমটুকু সেভ করতে লাগলাম।তখন শুধু বার বার মনে হতো আমি একটা ফুল টাইম জব আর সংসার সামলে পড়তে পাড়ছিনা, অথচ অনেকে এগুলোর সাথে সাথে বাচ্চা সামলে কিভাবে
পড়াশোনা করে!!
এভাবেই আমার দিন চলতে লাগলো।এরপর ডিসেম্বর, ২১ এর শেষ থেকেই শুরু হলো মালদ্বীপে আরেকটা কোভিড সার্জ।হাসপাতালে কাজের পরিমান গেলো ৫ গুণ বেড়ে।প্রতিদিন ৩০০০ করে রোগী আক্রান্ত হচ্ছে,অথচ পর্যাপ্ত পরিমাণ ডাক্তার নেই।প্রতিটা মিলিসেকেন্ড ও কাজ করতে হতো তখন।বাসায় আসা পর্যন্ত আমার শেষ বিন্দু শক্তিটুকু ও আর অবশিষ্ট থাকতোনা, সাথে ছিলো ১০ গুন পরিমাণ স্ট্রেস।মনে মনে খুব করে চাইতাম আবার আমার কোভিড হোক,আমি পড়ার জন্য কিছুটা হলেও সময় পাবো।ফোন অফ করে করে ঘুমোতে যেতাম,নয়তো কল আসতো ডিউটি আওয়ার বাদেও ডিউটি কভার করার জন্য।এই ওয়েভ চললো একদম আমার পরীক্ষার আগ পর্যন্ত, অথচ যখন আমার কিনা পড়ার সবচেয়ে বেশি দরকার ছিলো।পরীক্ষার ৩-৪ দিন আগে যখন দেশে গেলাম, তখন মনে হলো আমি হয়তো আর ৭ টা দিন ঘরে বসে পড়তে পারলে আমি আরো অনেক বেশি কনফিডেন্ট থাকতাম।
আর তারপর আজকের সেই কাংখিত দিন।অনেকটা দীর্ঘ হয়ে গেছে এ পথ।তবুও খুশি আমি আমার সিদ্ধান্ত একবারের জন্য ও বদলাইনি। চারপাশে যখন অনেক অনেক সাফল্য আমি দাতে দাত কেটে বসে ছিলাম আমার সাফল্যের সেই দিনটার অপেক্ষায়।
এখনো অনেক রাস্তা বাকি,হয়তো আরো অনেক হোচট খাওয়ার অপেক্ষায়।তবু মনে হলো আমার এ জয়টা তো কম না।যারা আমাকে খুব ভালো করে চেনে,তারা জানে আমি কতটা জেদি।আমি জেদ ধরে থাকতে জানি, আর এটাও জানি আমার এই জেদই আমাকে একদিন আমার শেষ গন্তব্যে পৌঁছে দিবে।

PLAB Part 1 পড়ার সময়

জানুয়ারি ২১- মে ২১- মন্থর গতিতে একবার প্ল্যাবেবল আর প্ল্যাব কিইস শেষ করি।
অক্টোবর ২১-  ফেব্রুয়ারী ২২- এই ৩ মাসে আগের পড়া গুলোই নতুন করে আবার পড়ি।

PLAB Part I  Study Meterials

1.Plabable ★★★

প্রথম ২ মাসে একবার শেষ করি,যদিও আমার আগস্টের বুকিং এর জন্য একবার আগে পড়া ছিলো,কিন্তু এই পড়াটা যথেষ্ট গুছানো ছিলোনা,পরে বুঝতে পারি সেটা।এজন্য দ্বিতীয় বার বুকিং এর পরে কিছু জিনিস গুছিয়ে নিজের মতো করে লিখে রাখি।কারন প্ল্যাবেবল আর প্ল্যাব কি তে অনেক জিনিস এলোমেলো লাগতো আমার।এই বারের পড়াটা আমার কাছে অনেকটা রিভিশনের মতো লেগেছে,কারণ আমি তখন বুঝতে পারি কোন টপিকসটা ইম্পর্ট্যান্ট আর কোনটা কম দরকারী।
আমার মনে হয় হ্যান্ডনোটের বিকল্প নেই,আমার কাছে অন্তত তাই।নিজের লেখা দেখলে পড়া বেশি মনে থাকে আমার ক্ষেত্রে। যে টপিকস গুলো ভুলে যাই বার বার সেগুলো লিখে রেখেছিলাম।
আমি যে আরেকটা ভুল করি সেটা হলো,প্ল্যাবেবল এর সেকেন্ড বার যখন সাবস্ক্রিপশন নেই তখন আর রিসেট দেইনি।এন্সারগুলো ঢেকে ঢেকে বলার ট্রাই করতাম।যেটার জন্য প্রশ্নের অনেক লিডিং পয়েন্ট গুলো মিস করে যেতাম আমি।
এই একবার পড়ার পর আমি আর দ্বিতীয় বার প্ল্যাবেবল পড়তে পারিনি এবার।আর একদম পরীক্ষার ৩-৪ দিন আগে শুধু ফ্ল্যাগড কোয়েশ্চেন আর ভুল প্রশ্ন গুলো পড়ে যাই। এবং এখান থেকেই আমার মনে হয়েছে অনেক গুলো কমন পেয়েছি আমি।তাই ফ্ল্যাগড কোয়েশ্চেন গুলো পড়া মাস্ট।

2.Plabable gems ★★★★

এই জেমস আমার কেনা আগে থাকলেও এটা পড়তে ইচ্ছা হয় নি আগে আমার।তবে পরীক্ষার একদম ১০ দিন আগে আবিষ্কার করি,এটা অনেক উপকারী।এটা ৩-৪ বার ঠোঠস্থ মুখস্থ মাস্ট।সব কিছু গুছিয়ে লেখা এখানে খুব সংক্ষিপ্ত আকারে।

3.Plab 1 keys ★★

প্ল্যাব কিইস আমি সবচেয়ে বেশি বার পড়ি।এটার মেনোমিক গুলো খুব সহজ সহজ।এটার হার্ড কপি কিনে দাগিয়ে পড়ার চেষ্টা করি,কারণ অনলাইন থেকে বই প্রেফার করি বেশি। আর আপডেটেড যে জিনিসগুলো সেগুলো প্ল্যাবেবল থেকে টুকে লিখে রাখতাম বইয়ে/নোটসে।

4.Plabable mock

মক আমি দিতে পারি ৫ টা।অন্তত ১০ টা মক দেয়া উচিত।কনফিডেন্স বাড়ে এতে।আর ৮০% পাওয়া সেফ,তবে ৯০% এর উপরে পেলে ভালো। আমি ৮০-৮২ % পেতাম মকে।
প্ল্যাবেবল এর সেই ৪ দিনের রিভিশন কোর্স করিনি,তাই বলতে পারিনা কেমন হেল্পফুল।

অতিরিক্ত কিছু টপিকস

আর কিছু টপিকস আছে খুব ভেজাল মনে হতো আমার কাছে।যেমন – Tetanus, chicken pox,hepatitis, alcohol withdrawal, diabetes insipidus,Addison’s,Cushing,Conn syndrome
এরকম  টপিকসগুলো সব লিখে ফোনে একটা ফোল্ডার করে গ্যালারিতে সেভ ছিলো।যখন মনে হতো এটা ভুলে গেছি,দেখে নিতাম বার বার।এটা মনে রাখতে অনেক হেল্প করতো।আর পরীক্ষার আগেও একদম দশ – পনের মিনিটে একটা কুইক রিভিশন ও হয়ে যায়।

প্ল্যাব পার্ট 1 এর জন্যে কিছু টিপস

★যে সময়েই পড়বেন,যতটুকু সময়ই পড়বেন, ফোন/ডাটা অফ করে পড়বেন।এটার থেকে বড় টনিক আর নাই পাস করার।

★পরীক্ষার দুই তিনদিন আগে জিএমসির এন্সার শিটের একটা ফটোকপি করে রিয়েল এক্সামের মতো ঘরে বসে টাইম ধরে পরীক্ষা দেয়ার ট্রাই করুন।প্ল্যাবাবেল এ মক দেয়া আর এই বৃত্ত ভরাট করে পরীক্ষা দেয়ার মধ্যে আকাশ পাতাল তফাত দেখতে পাবেন।আমি প্ল্যাবেবল থেকে যখন দিতাম তখন ২ ঘন্টার মধ্যে হয়ে যেতো শেষ।কিন্তু যখন বৃত্ত ভরাট করে দিলাম তখন মাত্র ১০ মিনিট আগে পরীক্ষা শেষ করি এবং রিয়েল এক্সামের দিন ও সেই রকম টাইমেই আমি শেষ করি।

★গুরুত্বপূর্ণ টপিকস
প্রশ্ন পড়ার পর প্রথম যে আন্সারটা ঠিক মনে হবে,সেটাই ভরাট করবেন।ভুলেও শেষ করে আবার গুতাগুতি করে আন্সার চেঞ্জ করবেন না।আমি এই কাজটা অনেক গুলো প্রশ্নের ক্ষেত্রে করেছি এবং বাসায় এসে যখন দেখি প্রথম আন্সারটাই ঠিক ছিলো,তখন আফসোস করা ছাড়া আর উপায় ছিলোনা।

★পরীক্ষার দিন হলে যাওয়ার আগে গরম কাপড় পড়ে যাবেন।কারণ এসি অনেক বেশি দেয়া থাকে,হাত পা ঠান্ডা হয়ে আসে।মনোযোগ অন্য দিকে চলে যায়।

★প্লাটফর্ম গ্রুপে মাহাদী ভাই আর খাইরুন নিসা আপুর দুইটা পোস্ট আছে ইম্পর্ট্যান্ট টপিকস এর, সেটা ভালো করে খেয়াল করতাম।

ফেব্রুয়ারী, ২২ এর প্রশ্ন গুলো সহজ ছিলো,কিন্তু আন্সার গুলো খুবই কনফিউজিং ছিলো,কোনো কোনোটাই আমার কাছে মনে হয়েছে এই ৫ টাই উত্তর।এক্সক্লুশন করাটা কঠিন মনে হয়েছে।তাই যারা প্ল্যাবেবল আর প্ল্যাব কিইস পড়া শেষে অতিরিক্ত টাইম থাকলে অন্যান্য রিসোর্স গুলো থেকে একবার চোখ বুলিয়ে নিতে পারেন কনসেপ্ট ক্লিয়ার হওয়ার জন্য।

আর আমি এই রুটে আসার পর ব্যর্থতা ছাড়া দ্রুত সাফল্য আমি খুব কম মানুষেরই দেখেছি।যদিও ব্যর্থতার গল্পগুলো হাইলাইট হয় কম।আমার অনেক কাছের মানুষকে দেখেছি কারো কারো জার্নিটা শুরু হওয়ার আগেই ফেলের অথই কষ্টে শেষ হয়ে গিয়েছে।তাই একটা জিনিসই আমার কাছে ম্যাটার করে সেটা হলো,কয়বারে আমি পাশ করলাম সেটা কথা না,আমি সাফল্য অর্জন করেছি সেটাই বড় কথা।

লেখক –ডাঃ সেতু ভৌমিক – ইন্দিরা গান্ধী মেমোরিয়াল হাসপাতাল,মালদ্বীপ।

2 thoughts on “PLAB (প্ল্যাব) নিয়ে ডা সেতু ভৌমিক এর অভিজ্ঞতা ও পরামর্শ”

  1. Pingback: এমবিবিএস পঞ্চম বর্ষের ছাত্রছাত্রীদের জন্যে যেসব বই পড়তে হবে — Doctors Gang

  2. Pingback: প্ল্যাব পার্ট 2 : প্রিপারেশন, ভিসা, একাডেমি, অনলাইন কোর্স, পরীক্ষা ইত্যাদি — Doctors Gang

Leave a Comment