plab part 1 experience

প্ল্যাব পার্ট 1 অভিজ্ঞতা শেয়ার করেছেন ডা মো সাদউদ্দীন সজল

ডাঃ মোহাম্মদ সাদউদ্দীন সজল ভাই এর প্ল্যাব পার্ট ওয়ান নিয়ে আজকের আয়োজন

আলহামদুলিল্লাহ যে এই ২০২০ এর সব ঝুটঝামেলার মধ্যেও প্লাব ১ ক্লিয়ার করতে পারলাম প্রথমবারেই, স্কোর ১৫৪/১৮০। এই গ্রুপটাকে আলাদা করে ধন্যবাদ,সাথে বাকি যারা এই পথের পথিক হতে পেরেছেন দের অভিনন্দন তাদেরকে। পোস্টের শুরুতেই বলে দেই এটা একটা লম্বা পোস্ট হবে, যারা পড়বেন সময় নিয়ে পড়বেন। আমার নিজের এই পরিক্ষা নিয়ে যত ঝামেলায় পরেছি এবং যেভাবে পড়লে আমার হিসেবে ভালো হয় সব ই লিখার চেষ্টা করব।

নিচের মতামত গুলো একান্ত আমার ব্যক্তিগত মতামত। কারো সাথে না মিললে নিজ গুনে ক্ষমাসুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন।

লেখক – মোহাম্মদ সাদউদ্দীন সজল, রেসিডেন্সিয়াল মেডিকেল অফিসার, কার্ডিয়াক আইসিইউ, ল্যাবএইড কার্ডিয়াক হাসপাতাল, ধানমণ্ডি।
প্ল্যাব পার্ট 1 অভিজ্ঞতা শেয়ার করেছেন ডা মোহাম্মদ সাদউদ্দীন সজল
ডাঃ মোহাম্মদ সাদউদ্দীন সজল

প্ল্যাব এর সূচনা

প্লাব লাইনে আমি বেশিরভাগ মানুষ এ পেয়েছি খুব ই হেল্পফুল। আপনাকে উপকার করতে তারা বিন্দুমাত্র হেসিটেট করবে না ইন এনি ওয়ে, আমার একটা মেসেঞ্জার গ্রুপ আছে,এনাদের কাছ থেকে কি হেল্প পেয়েছি বলার বাইরে। তাই সবাই একটা গ্রুপ ক্রিয়েট করে পড়ার চেষ্টা করবেন, হোক সেটা মেসেঞ্জার, টেলিগ্রাম কিংবা হোয়াটসঅ্যাপ। তবে আমি কিছু এমন মানুষ ও পেয়েছি প্রথম দিকে যারা আপনার কম জানাকে কেন্দ্র করে আপনাকে মক করার ট্রাই করবে, অপমান করার ট্রাই করে। এমন মানুষ সামনে ভাল সেজে ঘুরে বেড়ালেও এদের থেকে দূরে থাকবেন, টক্সিসিটি এড়িয়ে চলুন, তবে এমন মানুষ হাতে গোনা কয়েকজন।

পড়ার সোর্স

আমার স্কোর খুব একটা খারাপ আসে নাই,১৫৪, এবার পাশ ছিল ১১৬. স্কোর বলার এক্টাই কারন যে আমি plab 1 keys এবং Plabable এর বাইরে কিছু পড়ি নাই এবং এই ২ টাই এনাফ। অনলাইন পড়বো না অফলাইন অর হার্ডপ্রিন্ট? আমার হিসেবে শুধু এবং শুধু অনলাইন ভারশন পরবেন।অনলাইন সাবস্ক্রাইব করতে Plababke,Plab 1 keys ২ টাই ৩০০০ এর আশেপাশে খরচ হয় ৩ মাসের জন্য,বাট ওরথ ইট। আমার জুনে এক্সাম ক্যান্সেল হয় বিধায় আবার যখন অক্টোবর এ পড়তে বসি তখন দেখি অনলাইন ভারশনেই বিশাল চেইঞ্জ, কেউ আগে হার্ড কপি পরলে পরে আবার অনলাইন ভারশন পড়তেই হবে। তারমধ্যে প্লাব ১ কি তে আপডেট আনে খুব তাড়াতাড়ি, আগের ভূল থাকলে সরিয়ে ফেলে, অনলাইন ভারশন তাই বেটার আমার মতে। এখন যার সময় আছে সে কি অন্য কিছু পরবে? হ্যা এটা তার একান্ত ব্যক্তিগত ব্যাপার, এর বাইরে অক্সফোর্ড হ্যান্ডবুক, মেডরিভিশন, স্যামসন সোয়ামী নোটস আছে,পড়তে পারেন। তবে আমার হিসেবে প্লাব এবল, প্লাব কিস মোর দেন এনাফ, সত্যি বলতে কেউ যদি শুধু প্লাব এবল ই পড়ে টপিক বুঝে বুঝে তার পাশের জন্য এনাফ।

কতদিন পড়বো

এটা টোটাল ব্যক্তিগত ব্যাপার, আমি এমন ও মানুষ দেখেছি যে বলেছে ৪ সপ্তাহ পড়ে পাশ করেছে,আবার অনেকে ৬ মাস পড়েও হয়ত প্রথমবারে পাশ হয়নি। অনেকের পড়তে সময় বেশি লাগে,অনেকের অল্পতেই সব মেমোরি তে থেকে যায়,তাই একেকজনের কাছে একেক রকম সময় লাগবে এটাই স্বাভাবিক। আমার জুনে এক্সাম ছিল(যেটা ক্যান্সেল হয়ে যায়), আমি এক্সামের আগে ১.৫ মাস পড়ি, তারপরে ক্যান্সেল হওয়ার পর পড়া বন্ধ করে দেই। ওই ১.৫ মাসে আমার Plabable এবং Plab 1 keys ১ বার শেষ করতে পারি (৩ চ্যাপ্টার বাকি থাকে)। আমি একটা ফুলটাইম জব করি এবং এর মাঝেই প্রিপারেশন নিতে হয়। পরে GMC আবার সিট ছাড়লে অক্টোবর বুক করি, হাতে অনেক সময় থাকলেও পড়তে বসি অনেক দেরিতে, শেষে ২৫ দিন বাকি থাকতে পড়া শুরু করি আবার। পড়তে বসে দেখি ৩ মাসের গ্যাপের কারনে তেমন কিছুই মনে নাই। শেষ ২-৩ সপ্তাহ জব থেকে ছুটি নিয়ে আল্লাহর নাম নিয়ে আবার শুরু করি, শেষ ১৫-২০ দিন সময়ে আমি প্রায় দিনে ১২-১৫ ঘন্টা টাইম দিয়েছি পড়ায়, তারপরেও আমার আগের কিছু পড়া শেষ করে,কোনমতে একবার Plabable, Plab 1 keys যখন শেষ হয় তখন মাত্র ৪ দিন বাকি এক্সামের। এখন রিকল ই করবো, না রিভিশন ই দিব, না মক ই করব? সময় নিয়ে টানাটানি, কোনমতে একটা মক, ২-৩ টা বিগ মক, ২-৩ টা রিকল করে Plab 1 keys একবার চোখ বুলিয়েছিলাম। তাই আমার মতে ২.৫ মাস পড়ে রিস্ক নেয়াটা ঠিক না, আরাম করে ৩-৪ মাস সময় নিয়ে ভাল করে পড়ে,রিভিশন দিয়ে এক্সাম দেয়া ভাল।

প্ল্যাব 1 এর জন্যে কিভাবে পড়বেন

Plabable, Plab 1 keys যদি পড়েন তাহলে Plab 1 Keys আগে পড়া বেটার কারন Plabable হচ্ছে কোশ্চেন ব্যাংক,অন্যদিকে Plab 1 keys হল Plabable এর সলভড নোটস অনেকটা। আগে Plab 1 keys পড়ে Plabable সলভ করাটা খুব ই সহজ,আর Plabable সলভ করে নাম্বার বেশি আসলে কনফিডেন্স আসে। আবার যেহেতু Plabable এ ইনফরমেশন বেশি থাকে অনেকে Plab 1 Keys পড়ে Plabable শুধু কোশ্চেন সলভ করে ফুল ডেটেইলস না পড়ে চলে যায়, সেটা আবার ক্ষতিকর, Plabable is the Bible of Plab. Plabable বাদ দিবেন না, যদি মনে হয় Plab 1 keys আগে পড়লে Plabable এ স্কিপ চলে আসে,তাহলে plabable আগে পড়বেন। ইনফরমেশন Plabable এ যেটা আছে সেটা মোর রিলায়াবল, Plab 1 keys এ অসংখ্য ভুল আছে। অনেক নতুন গাইডলাইন দেখা যায় Plabable, Plab 1 Keys আপডেট করে দেরিতে!! পরিক্ষার ২-৩ দিন আগে নতুন গাইডলাইন এর ইনফরমেশন শিখতে হইসে। Plabable আবার ব্যাবসায়ী মনোভাবের কারনে নতুন ইনফরমেশন কিছু রেখে দেয় নিজেদের ওয়েবিনার নোটসের জন্য, নরমাল Plabable ইউসার দের দেয় না। তাই পাশাপাশি অক্সফোর্ড হ্যান্ডবুক, NICE Guidelines, patient info এগুলা ঘাটাঘাটি করতে পারলে ভাল। যেই ইনফরমেশন গুলো কনফিউশান লাগবে NICE ওর Patient info থেকে মিলিয়ে নিবেন। যদি সময় থাকে তাহলে Plabable এর নিচের দিকের লিনক গুলো পড়তে পারেন, নট নেসেসারি অল টাইম। যেই প্রশ্ন গুলো ঝামেলার অথবা ইনফরমেশন মনে রাখা বেশি দরকার Plabable এ ফ্লাগ মারক করে রেখে দিবেন যাতে পরে সহজেই বের করতে পারেন। আমি এক্সামের দিন শুধু ফ্লাগ করা এবং আমার ভুল করা প্রশ্ন গুলো দেখে গিয়েছি। তবে এটা বলতে হবে Plabable এর কমেন্ট সেকশন ইস এ জেম! এত অসাধারণ জিনিস দিয়ে ভরা, কিছু কমেন্ট আপনাকে এক লাইনে পুরা থিওরি শিখিয়ে দিবে,কিছু কমেন্ট আপনার সব কনফিউশান দূর করে দিবে! তবে এত কমেন্ট,কিভাবে পড়বেন? দেখবেন প্রতি কমেন্ট এর পাশে লাইক বাটন আছে, বেছে বেছে যেগুলোর লাইক সংখ্যা বেশি ওগুলো পড়বেন, আর ইম্পর্ট্যান্ট কমেন্ট গুলো অবশ্যই অবশ্যই নোটস করে ফেলবেন। আমি প্রথমদিকে Plabable এর যে এক্সট্রা ইম্পর্ট্যান্ট ইনফরমেশন ছিলো এবং কমেন্ট এর ইনফরমেশন ছিল নোট করে রেখেছিলাম, পরে অলসতার কারনে হয় নি। পারলে অবশ্যই এই কাজ টা করবেন,শেষ দিকে রিভিশনে অনেক কাজে লাগে, শেষে এত ডিটেইলস পড়ার সময় পাওয়া যায় না। মোটামুটি ৩০ টা চ্যাপ্টার আছে, বেশি টাইম থাকলে বড় চ্যাপ্টার গুলো ২-৩ দিন সময় নিয়ে পড়বেন। মাঝারি গুলো ১-১.৫ দিন এবং ছোট গুলো ২ টা একদিনে পসিবল। রিভিশন ইস এ মাস্ট, নিজের সামর্থ্য অনুযায়ী রুটিন করে রিভিশন দিবেন এটলিস্ট ২ বার।

কোচিং করবো কি না?

আমার হিসেবে কোন দরকার নাই, আবার যাদের টাকা আছে তারা করতে পারেন,খুব একটা এক্সট্রা বেনিফিট নাই। অনেকে স্যামসন সোয়ামী সাবস্ক্রাইব করে মক ওর নোটস এর জন্যে,কোন দরকার নাই, অফলাইনেই পাওয়া যায় সব। কোন টপিক, প্রশ্ন কনফিউশান থাকলে নিজেদের গ্রুপে আলোচনা করুন, একটু নেটে ঘাটাঘাটি করুন, কোচিং করার পক্ষপাতি না আমি,যতজন প্লাব ১ পাশ করছে ৯৯% এ কোচিং ছাড়া আমার দেখা।

মক, রিকল, বিগ মক

মক দিব কি না?

১০০% দিবেন। শুধু Plabable মক ই এনাফ টাইম না থাকলে, স্যামসন সোয়ামী মক গুলো খারাপ না,বাট অনেক ইনকম্প্লিট প্রশ্ন থাকে, সময় থাকলে করেন। Plabable এর সাবস্ক্রাইব করলে এপ এই ১১ টা মক আছে, আমি শুধু ১ টা করতে পেরেছিলাম, ৯৫% আসছিল, Plabable এর প্রশ্ন দিয়েই বানানো তাই রিকল বায়াসের কারনে স্কোর বেশি আসে, একদিকে কনফিডেন্স আসে। তাই মক দিবেন অবশ্যই।

রিকল?

রিকল হল বিগত পরিক্ষা গুলোর প্রশ্ন যেগুলো বিগত এক্সামিনি রা নিজেদের মনে থাকা প্রশ্ন থেকে বানিয়েছে। রিকল ইস এ মাস্ট!! দেখা যায় আপনি এক্সাম দিতে গিয়ে ১৫-২০ টা প্রশ্ন ঠিক আগের এক্সাম থেকে কমন পুরোপুরি! তাই রিকল অবশ্যই করবেন,এট লিস্ট আগের ৩-৪ টা এক্সামের, সব রিকল Plabable এ এড করা থাকে না। পরিক্ষায় যাওয়ার পথে আমি সেপ্টেম্বর রিকল দেখে গেসি, অনেকগুলা কমন ছিল!

বিগ মক?

Plabable এর ওয়েবিনারের সময় ওরা এই মকগুলি বানায়, ওয়েবিনার যারা করে তারা পায় অথবা আলাদা করে কিনা যায়, ৪০ পাউন্ডের মত লাগে। আবার আগের কিছু বিগ মক আপনি ফ্রিতে বিভিন্ন গ্রুপ গুলোয় খুজলে পাবেন। বিগ মক অবশ্যই করবেন, লাস্ট ২-৩ টা এটলিস্ট। রিয়াল এক্সামের সাথে কোশ্চেন লেন্থ এ মিল থাকে,আপনি যে স্কোর করবেন, সেটাও রিয়াল এক্সামের কাছাকাছি থাকে, মানে ভালমত জাজ করা যায় আমার হিসেবে। চেষ্টা করবেন ২.৫ ঘন্টার মধ্যে শেষ করতে, আর নরমাল মক ১.৫-২ ঘন্টায় শেষ করার প্রাকটিস করবেন। বিরতিহীন ভাবে পরিক্ষার মত পরিবেশ তৈরি করে পেন্সিল দিয়ে জিএমসির এন্সার শিট পাওয়া যায়,সেটায় প্রাকটিস করবেন বিগ মক।

Plabable Webinar:

Plabable Webinar?? করব কি না?? অনেক খরচের ব্যাপার,প্রায় ১৩০০০ টাকা! তাও ৪ দিনের জন্য,আগে ৩ দিন ছিল। আমার হিসেবে যাদের পক্ষে সম্ভব অবশ্যই করবেন, আমি জুন এ পরিক্ষা থাকার কারনে জুবে ওয়েবিনার করেছিলাম, পরে ক্যান্সেল হয়ে অক্টোবর এ হওয়ায় পরের বার আর করিনি। তারপরেও অনেক উপকার হয় আমার হিসেবে! পারলে ওয়েবিনার এর আগে একবার সব শেষ করতে পারলে ভাল, ওরা সবগুলো চ্যাপ্টার এর ইম্পর্ট্যান্ট ইনফরমেশন গুলো আলোচনা করে, নোট দিয়ে দেয় আলাদা করে যেগুলার মধ্যে কিছু নিউ ইনফরমেশন দেয়, সেগুলা আসলেও উপকারী। খুব ই ইন্টারেক্টিভ, ডিরেক্ট ডিস্কাশন করা যায় ওদের সাথে হোয়াটসঅ্যাপে! মানি প্রব্লেম না হলে টোটালি রিকমেন্ডেড। শেষ দিনে ওরা বিগ মক এর এন্সার নিয়ে আলোচনা করে।

পরিক্ষার দিনঃ

পরিক্ষার দিনের জন্য কিছু ঝুলিয়ে রাখবেন না, সব রিভিশন,মক আগেই করে রাখবেন। পরিক্ষা বাংলাদেশি সময় ৪ টা এরাউন্ড শুরু হয়, আমি শেষ দিনের জন্য ২০-৩০ টা টপিক্স লিখে রাখসিলাম একটা খাতায়(পেইজ নাম্বার সহ), যেমন- নিউমোনিয়া, এজমা, এনাফাইলেক্সিস। যেগুলা থেকে প্রশ্ন আসবেই, একবার দেখে গেসি এই টপিক গুলা,সাথে আমার চ্যাপ্টার ওয়াউস নোট করা ছিল ১-২ পাতার,এইগুলা একবার দেখসি। রাস্তায় সেপ্টেম্বর রিকল গুলা পরসি, অনেক কাজে লাগসে।

পরিক্ষার হল, কিভাবে কি করব?

Judgement Day has come. রেসাল্টের দিন ইম্পর্ট্যান্ট না, এক্সামের দিনটা ইম্পর্ট্যান্ট। ওইদিন হলে ৩ ঘন্টায় যা করবেন সেটাই আপনার রেসাল্টে আসবে। মাথা ঠান্ডা রাখাটা জরুরি, অনেকে দেখবেন এক্সাম হলের বাইরে পড়ে শেষ করে দিচ্ছে, অনেকে অনেক নতুন টপিক নিয়ে আলোচনা শুরু করবে। ডোন্ট ওরি, আপনি যা প্রিপারেশন নিয়েছেন তা নিয়েই কুল থাকুন, মনে রাখুন আপনি যতটুকু পরেছেন এনাফ!! এক্সাম হলে গিয়ে নিজের সিট দেখে আরাম করে বসে পরুন, দোয়া পড়ুন, জিনিসপত্র রেডি রাখুন চোখের সামনে। এক্সাম ঘন্টা বাজলে শুরু করুন প্রথম থেকে। আমি প্রথম কোশ্চেন দেখে ২ মিনিট বসে ছিলাম,আনকমন টপিক ছিল, পরে সেটা বাদ দিয়ে ২ নাম্বার থেকে শুরু করসি। আমার হিসেবে যেটা এন্সার প্রথমে মাথায় আসে সেটা এন্সার করে নেক্সট কোশ্চেন এ মুভ করুন, আপনার টেবিলে একটা কাগজ দেয়া থাকবে আপনার নাম রোল লিখা অইটার মধ্যে পেন্সিলে লিখে রাখুন যেই প্রশ্ন গুলা কনফিউশান আছে যাতে পরে সময় পেলে ঠিক করতে পারেন। বড় ছোট, এপিডেমিও আমি সবগুলো এক সিরিয়ালে দাগিয়ে গেসি,আর বাদ দেই নাই একটাও। টাইমের আগে থাকার চেষ্টা করবেন, বেশি সময় দিবেন না কোন একটা প্রশ্নে। আমি যখন শেষ করি তখন ও দেখি ৪০ মিনিট বাকি, কনফিউশান প্রশ্ন গুলো আরেকবার দেখি, শেষে আমার হাতে পুরো ১৮০ প্রশ্ন একবার দেখে আসার ও সময় ছিল। আমি এত কথা বুঝালাম এর জন্য যে টাইম ম্যানেজমেন্ট করলে আপনি দেখবেন অনেক সময় বাচাতে পারবেন। আর শেষদিকে সময় না পেলে যেটা মনে হবে সেটাই দাগিয়ে আসুন, কোন প্রশ্ন বাদ দিবেন না,নেগেটিভ মারক নাই। কোন এন্সার না জানলে এক্সক্লুসিভ মেথড এপ্লাই করুন, দেখবেন এন্সার বের হয়ে আসবে। অবশ্যই প্রশ্নের শেষ লাইন ভালো করে পরুন, পুরো প্রশ্ন পরে এন্সার মনে হবে একটা,শেষ লাইনে গিয়ে দেখবেন চাইসে অন্য কিছু। কারো দিকে তাকাবেন না,নিজে যা পারেন তাই দিবেন এন্সার। প্রতি বারই ৩০-৪০ টা নতুন এবং আনকমন টপিক থাকে,এত ভাবার দরকার নাই, যেটা মনে আসে ওর এক্সক্লুসিভ মেথডে এন্সার করে এগিয়ে যান। আপনার পাশের জন্য এনাফ প্রশ্ন অবশ্যই আছে এর বাইরে। প্রশ্ন যতই সোজা বা যতই কঠিন হোক পাশ মারক ১১৬-১২০ এর মধ্যেই থাকবে। তাই ১২০ পেলেও এনাফ মনে রাখবেন।পরিক্ষার হল থেকে বের হয়ে আরেকজন বেশি পারল আমি কম পারলাম এই কম্পারিজনে যাবেন না।

পরিক্ষার পর কি করবঃ

বিভিন্ন গ্রুপে প্রশ্ন গুলা নিয়ে আলোচনা হয়, এন্সার নিয়ে আলোচনা হয়, এইগুলাকে এভয়েড করলে ভাল। আলহামদুলিল্লাহ বলে একটা ঘুম দেন, বেশি রিকল মিলাতে গেলে ভয়ে থাকবেন।

উপসংহারঃ

অনেক বড় রচনা লিখা হয়ে গেল। আমি ভাই ৫ সাপ্লি খাওয়া মানুষ, আমি যদি এই পরিক্ষা পার করতে পারি আমার বিশ্বাস সবাই পারবে, এইবার বাংলাদেশ কমিউনিটি থেকে অনেক পাশ করেছে দেখলাম, খুব ই ভালো লেগেছে। সামনে সংখ্যা আরো বাড়বে। সবাই মিলে প্লিস GMC কে মেইল দেন সীট বাড়ানোর জন্য, আরেকটা প্লেস এড করার জন্য,নইলে আমাদের ই ক্ষতি। প্লাব ১ এক্সাম খুব একটা সহজ এরকম না, কিন্তু খুব ডু এবল। একটু দোয়া, একটু প্লান, একটু ডেডিকেশন, একটু হারডওয়ারক, একটু লাক এনাফ!! আমাদের বাংলাদেশ কমিউনিটি টা স্ট্রং হচ্ছে,আরো হবে সামনে ইনশাল্লাহ! কোন টপিক বাদ গেলে কমেন্ট করবেন,চেষ্টা করব জানানোর। সবাইকে ধন্যবাদ!!

লেখক পরিচিতি –

মোহাম্মদ সাদউদ্দীন সজল, রেসিডেন্সিয়াল মেডিকেল অফিসার, কার্ডিয়াক আইসিইউ, ল্যাবএইড কার্ডিয়াক হাসপাতাল, ধানমণ্ডি।

1 thought on “প্ল্যাব পার্ট 1 অভিজ্ঞতা শেয়ার করেছেন ডা মো সাদউদ্দীন সজল”

  1. Pingback: প্ল্যাব পার্ট 2 : প্রিপারেশন, ভিসা, একাডেমি, অনলাইন কোর্স, পরীক্ষা ইত্যাদি — Doctors Gang

Leave a Comment