image

৪৫ তম ও ৪৪ তম বিসিএস পরীক্ষার যোগ্যতা ও প্রস্তুতি,ক্যাডার তালিকা,সিলেবাস,চয়েজ, প্রশ্নের মানবন্টন এবং সুযোগ সুবিধা ২০২২

৪৫ তম ও ৪৪ তম বিসিএস পরীক্ষার সিলেবাস,যোগ্যতা, মার্কবন্টন, ক্যাডার পরিচিতি

Table of Contents

৪৪ তম বিসিএস এর আপডেট খবর

৪৪ তম বিসিএসবিস্তারিত
আবেদন শুরুর তারিখ৩০ ডিসেম্বর ২০২১
আবেদনের শেষ তারিখ৩১ জানুয়ারি ২০২২
আবেদন ফি৭০০ টাকা
৪৪ তম প্রিলিমিনারি পরিক্ষা তারিখ
৪৪ তম প্রিলিমিনারি পরিক্ষা রেজাল্ট প্রদানের তারিখ
৪৪ তম প্রিলিমিনারি মোট আবেদনকারি
৪৪ তম লিখিত পরিক্ষার তারিখ
৪৪ তম লিখিত পরিক্ষার রেজাল্ট প্রদানের তারিখ
৪৪ তম বিসিএস এর সিলেবাসএখানে দেখুন
৪৪ তম বিসিএস এর সার্কুলারএখানে দেখুন

যেভাবে দ্রুত সময়ে ৪৪ তম বিসিএস পরীক্ষার প্রস্তুতি শুরু করতে পারেন

১/ কোন কোচিং এর প্রিলির একটা লেকচার প্লান সংগ্রহ করুন, তারপর , সাব্জেক্ট গুলোকে টপিক অনুযায়ী একটা পেপারে লিখেন। যেদিন যেই টপিক্স টা পড়বেন সেদিন সেটা টিক চিহ্ন দিবেন।সব টপিক্স গুলো পরীক্ষার ৭ দিন আগে একবার শেষ করে ফেলুন। আপনার মত করে একটা রুটিন বানিয়ে নিন। উপরের প্লানিং টা তৈরি করে, চোখের সামনেই রাখবেন, যখন ই দেখবেন, তখনই আপনার পড়তে ইচ্ছে করবে, এবং কি কি পড়া হইছে আর কতটুকু বাকি আছে সব দেখতে পাবেন।

২/ আপনার মত ইন্টারেস্টেড অথবা কয়েকজন সিনিয়র এর সাথে কথা বলে ১০/১৫ জন মিলে একটা মেসেঞ্জার গ্রুপ তৈরি করেন, সব টপিক্স গুলো যতদিন সময়ে শেষ করবেন ততগুলো পরীক্ষায় ভাগ করেন।
প্রতিদিন রাতে একজন করে প্রশ্ন তৈরি করবেন বাকিরা পরীক্ষা দিবে। ১০ জন হলে ১ জনের মাসে তিনটা প্রশ্ন করতে হবে। এটা কন্টিনিউ করে পরলে দ্রুত শেষ করে ফেলতে পারবেন।

৩/ অনলাইন বা অফলাইনে যেকোন জায়গায় ভর্তি হয়ে যান, রেগুলার এক্সাম দেন, প্রতিদনের পড়া প্রতিদিন শেষ করে ফেলেন।

  

বিসিএস
৪৪ তম বিসিএস বিজ্ঞপ্তি ২০২২

বিসিএস কি?

BCS এর ফুল ফ্রম হচ্ছে Bangladesh Civil Service,

বিসিএস কাকে বলে?

যেখানে বিসিএস ক্যাডার কর্মকর্তা হিসেবে যোগদান করার জন্য যে পরীক্ষা দিতে হয় সেটাকেই আসলে বিসিএস পরীক্ষা বলা হয়। একটা দেশের সরকারি চাকরিকে আমরা প্রধানত দুই ভাগে ভাগ করতে পারি, একটা হলো সামরিক, আরেকটা হলো সিভিল সার্ভিস।Bangladesh Public Service and Commission বা  বাংলাদেশ সরকারি কর্ম কমিশন গেজেট প্রকাশ করে ক্যাডার হিসেবে বাংলাদেশ সিভিল সার্ভিসে নিয়োগ দেয়ার জন্য এ দেশে যে পরীক্ষা গ্রহণ করে সেটাই হচ্ছে বিসিএস পরীক্ষা।

বিসিএস ক্যাডার পরিচিতি

ক্যাডার এর অর্থ হচ্ছে কিছু লোককে নিয়ে গঠিত একটা গোষ্ঠী বা  দল, যাদেরকে একটা বিশেষ কার্য সম্পাদনের জন্য বিশেষভাবে প্রশিক্ষণ দেয়া হয় এবং সেই কাজে নিয়োগ দেওয়া হয়। সরকারি কর্ম কমিশন (Bangladesh Public Service and Commission) একটি স্বায়ত্বশাসিত সংস্থা, যার দায়িত্ব সরকারি চাকরিতে নিয়োগ সংক্রান্ত দায়িত্ব পালন করা।এটি  বাংলাদেশের একটি সাংবিধানিক ও স্বাধীন সংস্থা। একজন চেয়ারম্যান এবং কয়েকজন মেম্বার নিয়ে পাঁচ বছর মেয়াদের জন্য কমিশন গঠিত হয়। বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি কমিশনের চেয়ারম্যান এবং সদস্যদের নিয়োগ প্রদান করেন। বিসিএস ক্যাডার কর্মকর্তা হিসেবে  সাধারণত দুই ধরনের ক্যাডার পদে নিয়োগ দেয়া হয়। একটি হচ্ছে  ‘Genarel cadre ’ এবং অন্যটি Technical or professional cadres।

বিসিএস পরীক্ষা যতবার দেওয়া যায়

বিসিএস পরীক্ষা গ্রাজুয়েশন এর পর থেকে ত্রিশ বছর বয়স পর্যন্ত যতবার হবে ততবার দিতে পারবেন। হেলথ ক্যাডার ও মুক্তিযুদ্ধ কোটার ক্ষেত্রে ৩২ বছর বয়স পর্যন্ত দেওয়া যাবে। সাধারণ প্রতিবছর ১ টি করে বিসিএস হলে আর আপনার গ্রাজুয়েশন যদি ২৩ বছর বয়সে শেষ হয় তাহলে আপনি ৭ বার বিসিএস পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করতে পারবেন।

বিসিএস পরীক্ষার ফি কত হয়?

বিসিএস পরীক্ষার ফি বিভিন্ন বছর বিভিন্ন রকম হতে পারে, তবে ৩৮ তম বিসিএস পরীক্ষার ফি ছিল ৭০০ টাকা।

Read more : career after MBBS for Bangladeshi Students) 

বিসিএস পরীক্ষায় আবেদনের যোগ্যতাঃ

বিসিএস পরীক্ষার শিক্ষাগত যোগ্যতা ঃ

  • আবেদনপত্রে উল্লেখিত ক্যাডার পদের জন্য কোন প্রার্থীর বিসিএস পরীক্ষার নোটিশে উল্লেখিত শিক্ষাগত যোগ্যতা না থাকলে তিনি পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করতে পারবেন না
  • যদি কোন প্রার্থী কোন স্বীকৃত যেকোনো  ইউনিভার্সিটির বা বিশ্ববিদ্যালয়ের এমন কোন পরীক্ষায় অবতীর্ণ হয়ে থাকেন(অনার্স, মাস্টার্স) যাতে চাহিদাকৃত শ্রেণি বা বিভাগসহ পাস করলে তিনি বিসিএস পরীক্ষা দেওয়ার যোগ্যতা অর্জন করবেন, তাহলে তিনি বিসিএস পরীক্ষায় দেওয়ার জন্য আবেদন করতে পারবেন।
  • তবে শর্তঃ বিসিএস পরীক্ষার আবেদনপত্র জমাদানের শেষ তারিখের মাঝেই তার সকল লিখিত পরীক্ষা সম্পন্ন হওয়ার প্রমাণ স্বরুপ পেপারস বা ডকুমেন্টস আবেদনের সাথে যুক্ত করতে হবে।
  • আবেদনপত্র সাময়িকভাবে গ্রহণ করা হবে তবে বিসিএস প্রার্থীকে অবতীর্ণ প্রার্থী হিসেবেই বিবেচনা করা হবে।
  • অবতীর্ণ প্রার্থীকে তার মৌখিক পরীক্ষার নির্ধারিত তারিখের পূর্বে যথাশীঘ্র সম্ভব বিশ্ববিদ্যালয় হতে অর্জিত প্রয়োজনীয় শিক্ষাগত যোগ্যতার (অনার্স, মাস্টার্স, এমবিবিএস ইত্যাদি) মূল অথবা সাময়িক সার্টিফিকেট বিপিএসসি কমিশনে দাখিল করতে হবে।
  • এই বিধির অধীন আবেদনকারী প্রার্থীকে পরীক্ষায় অংশগ্রহণের জন্য তার আবেদনপত্রের সাথে উক্তরূপ শিক্ষাগত পরীক্ষায় অংশগ্রহণের প্রমাণস্বরূপ উক্ত পরীক্ষার প্রবেশপত্র(এডমিট কার্ড) এবং বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ কর্তৃক প্রদত্ত পরীক্ষা শুরু ও শেষ হওয়ার তারিখ যুক্ত প্রত্যয়নপত্র অবশ্যই জমা করতে হবে।

বিসিএস পরীক্ষার বয়সসীমাঃ

  • বাংলাদেশ পাব্লিক সার্ভিস কমিশন কর্তৃক যে মাসে বিসিএস পরীক্ষার নোটিশে জারি করা হবে, সেই মাসের প্রথম তারিখে কোন প্রার্থীর বয়স একুশ বছরের নিচে বা ত্রিশ বছরের উপরে হলে তিনি উক্ত পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করতে পারবেনা।
  • যেসব ক্ষেত্রে বয়সসীমা শিথিলযোগ্য হবে, যেমন-
  1.  মুক্তিযোদ্ধা বা শহীদ মুক্তিযোদ্ধাগণের সন্তান, প্রতিবন্ধী প্রার্থী এবং বিসিএস (স্বাস্থ্য) ক্যাডারের প্রার্থীদের সর্বোচ্চ বয়সসীমা হবে বত্রিশ (৩২) বছর বয়স।
  2.  মুক্তিযোদ্ধা ও তাদের সন্তান, মহিলা এবং অগ্রসর নয় এমন নাগরিক প্রার্থীর জন্য বাংলাদেশ সরকার কর্তৃক সময় সময় সরকারি গেজেটে বিজ্ঞপ্তির বা প্রজ্ঞাপনএর  মাধ্যমে নির্ধারিত বয়সসীমা।
  •  বিসিএস (Genarel Education ), বিসিএস (কারিগরি শিক্ষা) এবং বিসিএস (health for MBBS) ক্যাডারদের পদের ক্ষেত্রে উপজাতীয় প্রার্থীর সর্বোচ্চ বয়সসীমা বত্রিশ বছর বয়স পর্যন্ত শিথিলযোগ্য হবে ও অবশিষ্ট সকল ক্যাডারের ক্ষেত্রে উপজাতীয় প্রার্থীদের বসয়সীমা হবে ত্রিশ বছর(সর্বোচ্চ) বয়স।
  •  এসএসসি (HSC) বা সমমানের সনদে উল্লেখিত জন্ম তারিখ বা কমিশন কর্তৃক স্বীকৃত অন্য কোন যথাযথ কর্তৃপক্ষ কর্তৃক একজন প্রার্থীর নামে ইস্যুকৃত সনদে উল্লেখিত জন্ম তারিখ বয়স প্রমাণের দলিল বা
  •  প্রমাণ হিসেবে গণ্য হবে এবং ‘ও’ লেভেল এবং ‘এ’ লেভেল উত্তীর্ণ প্রার্থীদের ক্ষেত্রে সার্টিফিকেটে বা সনদপত্রে যে জন্ম তারিখ থাকবে সেটাই প্রধান দালিলিক প্রমাণ হিসেবে গণ্য হবে।
  • বয়স প্রমাণের জন্য এভিডেভিড অথবা হলফনামা গ্রহণযোগ্য হবে না।

আরও জানুন – বিসিএস পরীক্ষা কতবার দেওয়া যায় এবং বয়স সীমা কত – সর্বশেষ আপডেট অনুযায়ী

নাগরিকত্ব ঃ

  1. বাংলাদেশের নাগরিক নয় এমন কোন প্রার্থী বিসিএস পরীক্ষায় অংশগ্রহণের জন্য যোগ্য বলে বিবেচিত হবেন না।
  2. সরকারের অনুমতি ছাড়াই কোন প্রার্থী কোন বিদেশী নাগরিককে বিয়ে করে থাকলে বিসিএস পরিক্ষার জন্যে বিবেচিত হবেন না।

বিসিএস পরীক্ষার শারীরিক যোগ্যতা

মেডিকেল বোর্ড কোন বিসিএস প্রার্থীকে স্বাস্থ্যগতভাবে যোগ্য ঘোষণা না করলে এবং প্রার্থী এমন কোন শারীরিক বিকলতায় অসুস্থ না যা তাকে মনোনীত ক্যাডার পদে দায়িত্ব পালনে কোন বাধা অথবা বিঘ্ন সৃষ্টি করতে পারে, মেডিকেল বোর্ড এমন সুস্থতার প্রত্যয়ন না করলে উক্ত বিসিএস প্রার্থী ক্যাডার পদে নিয়োগের জন্য যোগ্য বিবেচিত হবেন না। সঠিকভাবে স্বাস্থ্যগত পরীক্ষা সম্পন্ন করাও কোন ক্যাডার পদে নিয়োগের নিশ্চয়তা প্রদান করতে নাও পারে

Read more: Tips on Medical Treatment in India

চাকরিরত প্রার্থীদের ক্ষেত্রে বিসিএসঃ

সরকারি বা প্রাইভেট কর্তৃপক্ষের অধীন চাকরিরত প্রার্থীগণের মধ্যে যাদের পরীক্ষায় অংশগ্রহণের যোগ্যতা আছে তারা নিয়োগকারী কর্তৃপক্ষ কর্তৃক অনুমতি নিয়ে  পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করতে পারবেন।

বিসিএস ক্যাডার তালিকা

বিসিএস-এর ২৭টি ক্যাডারের নাম

সাধারণ বা জেনারেল ক্যাডারঃ

 

  1. বাংলাদেশ সিভিল সার্ভিস (পররাষ্ট্র)
  2. বাংলাদেশ সিভিল সার্ভিস (অ্যাডমিন/প্রশাসন)
  3. বাংলাদেশ সিভিল সার্ভিস (পুলিশ)
  4. বাংলাদেশ সিভিল সার্ভিস (আনসার)
  5. বাংলাদেশ সিভিল সার্ভিস (নিরীক্ষা ও হিসাব)
  6. বাংলাদেশ সিভিল সার্ভিস (সমবায়)
  7. বাংলাদেশ সিভিল সার্ভিস (শুল্ক ও আবগারি)
  8. বাংলাদেশ সিভিল সার্ভিস (পরিবার পরিকল্পনা)
  9. বাংলাদেশ সিভিল সার্ভিস (জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল)
  10. বাংলাদেশ সিভিল সার্ভিস (ডাক)
  11. বাংলাদেশ সিভিল সার্ভিস (কর)
  12. বাংলাদেশ সিভিল সার্ভিস (রেলওয়ে ও বাণিজ্যিক )
  13. বাংলাদেশ সিভিল সার্ভিস(তথ্য)
  14. বাংলাদেশ সিভিল সার্ভিস(বাণিজ্য)

টেক্নিকেল বা প্রফেশনাল ক্যাডার

  1. বাংলাদেশ সিভিল সার্ভিস (এগ্রিকালচার/কৃষি)
  2. বাংলাদেশ সিভিল সার্ভিস (খাদ্য)
  3. বাংলাদেশ সিভিল সার্ভিস (বন)
  4. বাংলাদেশ সিভিল সার্ভিস (মৎস্য)
  5. বাংলাদেশ সিভিল সার্ভিস (স্বাস্থ্য)
  6. বাংলাদেশ সিভিল সার্ভিস (তথ্য)
  7. বাংলাদেশ সিভিল সার্ভিস (পশু সম্পদ)
  8. বাংলাদেশ সিভিল সার্ভিস (রেলওয়ে প্রকৌশল)
  9. বাংলাদেশ সিভিল সার্ভিস (সড়ক ও জনপথ)
  10. বাংলাদেশ সিভিল সার্ভিস (পরিসংখ্যান)
  11. বাংলাদেশ সিভিল সার্ভিস (বাণিজ্য)
  12. বাংলাদেশ সিভিল সার্ভিস (গণপূর্ত)
  13. বাংলাদেশ সিভিল সার্ভিস (সাধারণ শিক্ষা)

বিসিএস নিয়োগ প্রক্রিয়াঃ

বিসিএস প্রিলিমিনারি টেস্ট

প্রথম ধাপেঃ ২০০ নম্বরের প্রিলিমিনারি টেস্ট

পদের তুলনায় প্রার্থী সংখ্যা অনেক হওয়ায় লিখিত পরীক্ষার মাধ্যমে উপযুক্ত প্রার্থী বাছাই করার জন্য বিসিএস (বয়স, যোগ্যতা ও সরাসরি নিয়োগের জন্য পরীক্ষা) ২০১৪ এর বিধিমালা ৭ এর অনুযায়ী বাংলাদেশ সরকারী কর্ম কমিশন ২০০ নম্বরের এমসিকিউ(MCQ) প্রিলিমিনারি পরিক্ষা গ্রহণ করে থাকে। ৩৪তম বিসিএস পরীক্ষা পর্যন্ত অর্থাৎ ৩৫ তম বিসিএসের আগ পর্যন্ত ১০০ নম্বরে প্রিলিমিনারি টেস্ট গ্রহণ করা হতো। বিসিএস পরীক্ষা বিধিমালা ২০১৪ এর বিধানমতে ৩৫তম বিসিএস পরীক্ষা হতে ২০০ নম্বরের ২ ঘণ্টা সময়ে ১০টি বিষয়ের উপর MCQ (multiple choice question) প্রিলিমিনারি টেস্ট গ্রহণের ব্যবস্থা প্রবর্তন করা হয়েছে।   বিসিএস প্রিলিমিনারি সিলেবাস বিসিএস প্রিলি সিলেবাস ৪১/৪২/৪৩ তম বিসিএস প্রিলিমিনারি সিলেবাস

ডাউনলোড করুন (প্রিলিমিনারি সিলেবাস)

প্রতিটি এমসিকিউ এর জন্যে বরাদ্দ সময় হচ্ছে ৩৬ সেকেন্ড। প্রতিটি ভুলের জন্যে 0.5 নম্বর কাটা হয়। 

বিসিএস পরীক্ষার মানবন্টন প্রিলিমিনারি টেস্ট ঃ

  বিষয়ের নাম ও নম্বর  

  • ১.বাংলা ভাষা ও সাহিত্য -৩৫
  • ২.ইংরেজি ভাষা ও সাহিত্য-৩৫
  • ৩.বাংলাদেশ বিষয়াবলি-৩০
  • ৪.আন্তর্জাতিক বিষয়াবলি-২০
  • ৫.ভূগোল, পরিবেশ ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা-১০
  • ৬.সাধারণ বিজ্ঞান-১৫
  • ৭.কম্পিউটার ও তথ্য প্রযুক্তি-১৫
  • ৮.গাণিতিক যুক্তি-১৫
  • ৯.মানসিক দক্ষতা-১৫
  • ১০.নৈতিকতা, মূল্যবোধ ও সু-শাসন-১০

  মোট=২০০ মার্ক্স

বিসিএস রিটেন এক্সাম বা বিসিএস লিখিত পরীক্ষা

বিসিএস লিখিত পরিক্ষাঃ

দ্বিতীয় ধাপে লিখিত পরীক্ষা (গড় পাস নম্বর ৫০%) প্রিলিমিনারি টেস্ট-এ কমিশন কর্তৃক কৃতকার্য ঘোষিত প্রার্থীদের ৯০০ নম্বরের লিখিত পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করতে হয়। নির্ধারিত শিক্ষাগত যোগ্যতা অনুযায়ী ২৬টি ক্যাডার সাধারণ ক্যাডার এবং কারিগরি/পেশাগত ক্যাডার এই দুই ক্যাটাগরিতে বিভক্ত।   বিসিএস লিখিত সিলেবাস। বিসিএস রিটেন সিলেবাস।

ডাউনলোড করুন (বিসিএস লিখিত সিলেবাস)

বিসিএস প্রিলি সিলেবাস। বিসিএস রিটেন সিলেবাস বিসিএস প্রিলিমিনারি সিলেবাস দেখে আজই শুরু করুন আপনার পড়ালেখা।

ডাউনলোড করুন (প্রিলিমিনারি সিলেবাস)

ক. শুধু জেনারেল ক্যাডারে প্রার্থীদের জন্য ৯০০ নম্বরের লিখিত পরীক্ষা।   খ. শুধু কারিগরি বা পেশাগত ক্যাডারের প্রার্থীদের জন্যে ৯০০ নম্বরের লিখিত পরীক্ষা। গ. জেনারেল ক্যাডার+পেশাগত ক্যাডার অথবা বোথ ক্যাডারের জন্যে ১১০০ নম্বরের লিখিত পরীক্ষা।   ক. সাধারণ ক্যাডারের প্রার্থীদের জন্য লিখিত পরীক্ষার বিষয়ভিত্তিক নম্বর বণ্টন   ক্রমিক নম্বর আবশ্যিক বিষয় নম্বর বণ্টন

  1. বাংলা-২০০
  2. ইংরেজি-২০০
  3. বাংলাদেশ বিষয়াবল-২০০
  4. আন্তর্জাতিক বিষয়াবলি -১০০
  5. গাণিতিক যুক্তি ও মানসিক দক্ষতা-১০০
  6. সাধারণ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি-১০০

মোট=৯০০ মার্ক্স   খ. পেশাগত ক্যাডারের প্রার্থীদের জন্য লিখিত পরীক্ষার বিষয়ভিত্তিক নম্বর মানবণ্টন   ক্রমিক নম্বর আবশ্যিক বিষয় নম্বর বণ্টন ১. বাংলা-১০০২. ইংরেজি-২০০৩. বাংলাদেশ বিষয়াবলি-২০০৪. আন্তর্জাতিক বিষয়াবলি- ১০০৫. গাণিতিক যুক্তি ও মানসিক দক্ষতা -১০০৬. পদ-সংশ্লিষ্ট বিষয়-২০০ মোট=৯০০মার্ক্স   গ. যে সকল প্রার্থী সাধারণ ও কারিগরি বা পেশাগত উভয় ক্যাডারের পদের জন্য পরিক্ষা দেবেন, তাদেরকে সাধারণ ক্যাডারের জন্য নির্ধারিত বিষয়ের ৯০০ নম্বর +সংশ্লিষ্ট পদ বা সার্ভিসের জন্য উক্ত প্রাসংগিক বিষয়ের ২০০ নম্বরের অতিরিক্ত  লিখিত পরীক্ষা দিতে হয়। মোট = ১১০০ নম্বর

দ্বিতীয় ধাপেঃ প্রিলিমিনারি টেস্টে কৃতকার্য প্রার্থীদের জন্য ৯০০(১১০০ উভয় ক্যাডার) নম্বরের লিখিত (রিটেন) পরীক্ষা।

বিসিএস ভাইভা / বিসিএস মৌখিক পরীক্ষা

তৃতীয় ধাপেঃ লিখিত পরীক্ষায় কৃতকার্য প্রার্থীদের জন্য ২০০ নম্বরের ভাইভা পরীক্ষা। বিসিএস-এর লিখিত পরীক্ষায় উত্তীর্ণ প্রার্থীদের ২০০ নম্বরের ভাইভা পরীক্ষায় অংশগ্রহণ বাধ্যতামূলক। মৌখিক পরীক্ষায় পাশ নম্বর হচ্ছে ৫০%।

বিসিএস ভাইভা পাশ নম্বর।

বিসিএস মৌখিক পরীক্ষায় পাশ নম্বর।

বিসিএস ভাইভা মৌখিক পরীক্ষার বোর্ড গঠন করে থাকেন যারা ঃ

  1. বিপিএসসির চেয়ারম্যান অথবা সদস্য বোর্ড চেয়ারম্যান।
  2. যুগ্মসচিব অথবা তার উপর পদমর্যাদার কর্মকর্তা বোর্ড সদস্য সরকার কর্তৃক অনুমোদিত।
  3. বিপিএসসি কর্তৃক মনোনীত বিষয়ভিত্তিক বিশেষজ্ঞ বোর্ড সদস্য।

বিসিএস বইয়ের তালিকা ও পড়াশোনার কৌশল

সদ্য পড়াশুনা শেষ করে চাকুরি নামক মহাযুদ্ধে যারা অবতীর্ণ হতে চলেছেন অথবা অনার্স ৩য় থেকে ৪র্থ বর্ষে পড়ছেন, কিন্তু ৪২, ৪৩ বা ৪৪তম বিসিএসসহ অন্যান্য চাকুরির পরীক্ষায় অংশ নেওয়ার প্রত্যাশায় নিজেকে অধিক প্রতিযোগি করতে এখন থেকেই কাজ শুরু করার কথা ভাবছেন, তাদের জন্যই মূলত এই আর্টিকেল। বেসিক ভাল থাকলে মোটামুটি পড়াশুনা দিয়েই সাফল্য পাওয়া যেতে পারে, অন্যদিকে বেসিক দুর্বল থাকলে দিনরাত নির্ঘুম অধ্যবসায়ের প্রচেষ্টাও নিতে পারে ব্যর্থতার রুপ।

বিসিএস ইংরেজি প্রস্তুতি ও বইয়ের তালিকা

যেকোন চাকুরির পরীক্ষায় ভাল করার জন্য ফ্রি-হ্যান্ড রাইটিং , স্পোকেন ইংলিশ ও ইংরেজি গ্রামারের ওপর বিশেষ দখল নিশ্চিত করার কোন বিকল্প রাস্তা নেই। এটি অন্যান্য প্রতিযোগীদের তুলনায় আপনাকে অধিক এগিয়ে রাখবে, যা অন্যান্য বিষয়ের মতো একদিন, একমাস অথবা একবছরে আয়ত্ত করা সম্ভব নয়। তাই এ লক্ষ্যে আজ থেকেই কাজ শুরু করে দিন।বিসিএস ইংরেজি প্রস্তুতি নেওয়ার জন্যে যেসব বই পড়তে হবে।

  1. প্রতিদিন ইংরেজি দৈনিক পত্রিকা(ডেইলি স্টার) পড়ার অভ্যাস গড়ে তুলুন।
  2. How to read English Newspaper যারা পত্রপত্রিকায় ব্যবহৃত আধুনিক ইংরেজি ভাষা জানেন না, তারা প্রফেসর্স প্রকাশনের এবার ভাল মানের একটি ইংরেজি পত্রিকা যেমনঃ ডেইলি স্টার  বাসায় রেখে নিয়মিত পড়া শুরু করে দিন। যারা নতুন প্রথমে শুধু শিরোনাম পড়ে যেতে পারেন, তারপর আস্তে আস্তে আপনার পছন্দনীয় টপিকগুলো পড়ার চেষ্টা করুন।সময় নিন, ডিকশনারি খুলে প্রয়োজনীয় শব্দের অর্থ জেনে নিয়ে তা খাতায় নোট করে রাখুন, তাড়াহুড়ো করবেন না। এভাবে সময়ের পরিক্রমায় সম্পাদকীয় ও উপসম্পাদকীয় কলামসমূহ একটু একটু করে দেখার চেষ্টা করুন। ইনশাআল্লাহ, ইংরেজিতে অন্যদের থেকে এগিয়ে যাবেনই। চাকুরির পরীক্ষায় কম্পালসরি ইংলিশের পাশাপাশি আন্তর্জাতিক ও বাংলাদেশ  বিষয়াবলির পরীক্ষাসমূহও যদি ইংরেজি দিয়ে লিখতে পারেন, অন্যদের তুননায় এখানেই অন্তত পঞ্চাশ  নম্বর এগিয়ে থাকতে পারবেন।

 গ্রুপ করে ইংরেজিতে কথা বলার চর্চা করুন। এডভান্স লেভেলের জন্যঃ

  1. English for competitive exam by, fazlul haque.শুরুতেই এই বইটা পড়লে যেকোন পরীক্ষায় বসার মত একটা প্রস্তুতি আপনার হয়ে যাবে, যা আপনাকে আশাবাদি, আত্মবিশ্বাসী ও পরবর্তী প্রস্তুতির সময় নির্ভয় রাখবে,  বিগত বছরের বিভিন্ন চাকুরি পরীক্ষার প্রশ্নও রয়েছে যা আনলিসিস করলে বিগত সালের প্রশ্নও এতে কভার হয়ে যাবে।
  2. saifur’s vocabulary
  3.  Advanced learners byচৌধুরী এন্ড হোসাইন স্যার লিখিত বইটির সম্পূর্ণ গ্রামার অংশ।
  4. সাহিত্য অংশের জন্য ওরাকল প্রিলিমিনারি ও রিটেন গাইডের সাহিত্য অংশের পাশাপাশি ABC of english literature by Dr Zakir Hossain বইটি দেখে নিবেন এতে নিজেকে আরেকটু এগিয়ে রাখতে পারবেন ।

বিসিএস বাংলা প্রস্তুতি ও বাংলা বইয়ের তালিকা

বাংলার জন্য আলাদা করে ভাবতে হবে না । পরীক্ষার আগের কয়েকমাস সময়ই এক্ষেত্রে পর্যাপ্ত হবার কথা। তবে নিম্নের কাজগুলো সতর্কতার সাথে করে যেতে পারেন। বিসিএস বাংলা প্রস্তুতি নেওয়ার জন্যে যেসব বই পড়তে হবে।

  1. বাংলা পত্রিকা বা যে কোন বই পড়ার সময় কনফিউজিং বানানগুলো আলাদা ভাবে খেয়াল করবেন।
  2. ভাবসম্প্রসারন, চিঠি, স্মারকলিপি,  সারাংশ, সারমর্ম, ও সংলাপ ইত্যাদির লেখার নিয়ম জেনে নিয়ে মাঝে মাঝে ফ্রি-হ্যান্ড লেখার প্র‍্যকটিস করবেন।
  3. এডভান্স লেভেলের জন্যঃ
  • mp3 প্রিলিমিনারি বাংলা (বর্ণনা গুলো পড়বেন ভালোভাবে। ব্যাকরণ, সাহিত্য সব)
  • সৌমিত্র শেখর স্যারের জিজ্ঞাসা ( এই বই থেকে শুধু সাহিত্য অংশ দেখুন)
  • ক্লাস ওয়ান থেকে শুরু করে এইচএসসি পর্যন্ত আবশ্যিক বাংলা বইয়ে যেসব কবি লেখকের কবিতা রয়েছে, তাদের জীবন ও সাহিত্যকর্ম সম্পর্কে নিবেন। ছন্দ দিয়ে পড়বেন না তাতে হিতে বিপরীত হতে পারে4নবম-দশম শ্রেনীর ব্যাকরন বই (ব্যাকরণএর জন্যে) পাশাপাশি হায়াত মামুদের বইটির ব্যাকরন অংশ দেখবেন।

বিসিএস সাধারণ জ্ঞান প্রস্তুতি ও বইয়ের তালিকা

বিসিএস সাধারণ জ্ঞান প্রস্তুতি নেওয়ার জন্যে যেসব বই পড়তে হবে।

  • দিনে কমপক্ষে একবার হলেও টিভি নিউজ শুনেন, যে কোন একটি চ্যানেলের সংবাদ মনযোগ দিয়ে শুনুন।
  • ইংরেজির পাশাপাশি একটি বাংলা পত্রিকা ও রাখুন।প্রধানত, সম্পাদকীয়, উপসম্পাদকীর কলাম, অর্থনৈতিক সংবাদ,ও আন্তর্জাতিক এই তিনটি  সংবাদ পাতা বেশি করে পড়বেন
  • এছাড়াও বাজেট, অর্থনৈতিক সমীক্ষা, ও আদমশুমারি ভালোভাবে দেখুন।

 বাংলায় এডভান্সডদের জন্যে কিছু বইঃ

  1.  mp3 বিসিএস বাংলাদেশ ও আন্তর্জাতিক বিষয়াবলি
  2. নীলক্ষেতে দেখবেন সাম্প্রতিক সাধারন জ্ঞান টাইপ নামের কিছু বই পাওয়া যায়, ওখান থেকে ১ অর ২ টা নিতে পারেন
  3. বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস, বঙ্গবন্ধুর রাজনৈতিক জীবন সম্পর্কে ভালমতো জেনে নিন।(অবশ্যই পড়তে হবে)  অসমাপ্ত আত্মজীবনী বইটা অবশ্যই ভালকরে পড়বেন।বিসিএস সাধারণ জ্ঞান বইয়ের পিডিএফ ডাউনলোড করুন
  4. সংবিধানঃ ১৫৩ টি ধারা মুখস্থ করা কঠিন তাই ৫০টির মতো গুরুত্বপূর্ণ ধারা ভিতরর বর্ণনাসমূহ পড়ুন।এর বাইরে প্রস্তাবনা, সংশোধনী,ও সংবিধান রচনার ইতিহাস দেখুন।আরিফ খানের সংবিধান বইটি অবশ্যই পড়বেন।
  5. নবম শ্রেনির বাংলাদেশে ও বিশ্ব পরিচয় বইটি পড়ে নিন।

বিসিএস বিজ্ঞান ও কম্পিউটার প্রস্তুতি ও বইয়ের তালিকা

আগে বিসিএস ছাড়া অন্যান্য চাকুরি পরীক্ষায় বিজ্ঞান ও কম্পিউটার থেকে তেমন প্রশ্ন আসতো না তবে এখন দেশজুড়ে সর্বব্যাপী ডিজিটালাইজেশনের প্রেক্ষিতে সাম্প্রতিক সময়ে এ প্রবণতায় পরিবর্তন লক্ষ করা যাচ্ছে। তাই নিজেকে এগিয়ে রাখাতে গুরুত্ব দিন। বিসিএস কম্পিউটার বইয়ের পিডিএফ ডাউনলোড করুন। বিসিএস বিজ্ঞান প্রস্তুতি নেওয়ার জন্যে যেসব বই পড়তে হবে।

  1. মুজিবুর রহমান লিখিত উচ্চমাধ্যমিক আইসিটি বইসহ ক্লাস সিক্স থেকে নাইন এর সাধারণ বিজ্ঞান বইগুলো সংগ্রহ করে এখন থেকেই দেখতে থাকুন। আপাতদৃষ্টিতে অপ্রয়োজনীয় মনে হলেও সময়ে এর ফল ভোগ করে নিতে পারবেন।
  2. বিজ্ঞান সংক্রান্ত সাময়িকী দেখার অভ্যাস গড়ে তুলুন।
  3. ওরাকল প্রিলিমিনারি বিজ্ঞান, প্রযুক্তি ও কম্পিউটার বইটি পড়া শুরু করে দিতে পারেন আরেক্টু এগিয়ে যেতে।

বিসিএস ভূগোল পরিবেশ ও দুর্যোগ ব্যাবস্হাপনা নৈতিকতা মুল্যবোধ ও সুশাসন প্রস্তুতি ও বইয়ের তালিকা

বিসিএস পরীক্ষার দিলেবাসের নতুন অতিথি। অন্যান্য চাকুরি পরীক্ষার প্রশ্নেও যে যখন তখন ঢুকে পরবে, এটা নিশ্চিত করেই বলা চলে। বিসিএস জিওগ্রাফি বইয়ের পিডিএফ ডাউনলোড করুন। বিসিএস ভুুুুগোল প্রস্তুতি নেওয়ার জন্যে যেসব বই পড়তে হবে।

  •  স্কুলের বইয়ে নৈতিকতা মুল্যবোধ ও সুশাসন সম্পর্কিত যে চ্যাপ্টারসমূহ দেখা শুরু করুন।
  • নবম দশম শ্রেণির বাংলাদেশ ও বিশ্বসভ্যতা অথবা নবম দশম শ্রেনীর ভূগোল বইয়ের চতুর্থ চ্যাপ্টার। উচ্চমাধ্যমিক ‘পৌরনীতি ও সুশাসন’ প্রফেসর মোজাম্মেল বই থেকে সংশ্লিষ্ট অংশ দেখুন।
  • ওরাকল গাইড ( প্রিলি ও রিটেন) দেখতে পারেন (এডভান্স লেভেলের জন্যে)।

৪১তম বিসিএস পরীক্ষার প্রিলিমিনারি টেস্টঃ

৪১ তম বিসিএস প্রিলিমিনারি অনুষ্ঠিত হয় আগামী ১৯ মার্চ  ২০২১ তারিখে।ঢাকা, চট্টগ্রাম, রাজশাহী, খুলনা, বরিশাল, সিলেট, রংপুর ও ময়মনসিংহ কেন্দ্রে।

৪১ তম বিসিএস প্রিলিমিনারি পরিক্ষার সময়ঃ

সকাল ১০টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত একযােগে অনুষ্ঠিত হয়েছিল

৪২ তম স্পেশাল বিসিএস

৪২ তম স্পেশাল বিসিএস গত 26 ফেব্রুয়ারি

পরীক্ষা কেন্দ্র শুধুমাত্র “ঢাকা”য় হয়েছ। ৪২ তম স্পেশাল বিসিএস এর প্রশ্নপত্র কোনো প্রেস থেকে ছাপানো হয়নি পিএসসিতে আলাদা একটা রুম করা হয়েছিলো  পরীক্ষার জন্যে। সেখানে হাইস্পিড কম্পিউটারের ও অন্যান্য যন্ত্রপাতির সাহায্যে দ্রুত প্রশ্ন প্রিন্ট করা হবে এবং প্রশ্ন মডারেটশন শুরু হয়েছে অলরেডি।

স্বাস্থ্যবিধি মেনে ৪২ তম স্পেশাল বিসিএস পরিক্ষা হয়েছে। একটি বেঞ্চে একজন করে স্টুডেন্ট বসেছিল। ৪২  তম স্পেশাল বিসিএস ভাইভা বোর্ড এর সংখ্যা ১০টি থেকে বাড়িয়ে ১২ থেকে ১৩ টা করা হবে দ্রুত ভাইভা শেষ করার জন্য এবং ৪২ তম স্পেশাল বিসিএস এর সব কাজ ছয় মাসের মধ্যে শেষ করা হবে। ৪২ তম স্পেশাল বিসিএস এর ভাইভা শুরু হওয়ার কথা ছিল ২৩ মে ২০২১ কিন্তু করোনা পরিস্থিতির জন্যে এখন স্থগিত রয়েছে, আশা করা যায় খুব দ্রুত ভাইভা শুরু করা হবে।৪২ তম বিসিএস এর পরিবর্তিত ভাইভার তারিখ ৬.০৬. ২০২১ থেকে শুরু হবে।

৪২তম বিসিএস (বিশেষ) পরীক্ষার মৌখিক পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে আগামি ৬ জুন থেকে। রংপুর মেডিকেল কলেজ এর অনেক চিকিৎসক আগামি ৮ জুলাই ২০২১ তারিখ এ ভাইভায় অংশগ্রহণ করবেন জানা গেছে।

৪৩ তম বিসিএস পরিক্ষা

৪৩ তম বিসিএস প্রিলিমিনারি পরিক্ষা কবে হবে? ৪৩ তম বিসিএস লিখিত পরিক্ষার আবেদন কবে শুরু হবে? ইত্যাদি যাবতীয় তথ্যাদিসহ আপডেট করা হবে অতি শীঘ্রই।

৪৪ তম বিশেষ বিসিএস সার্কুলার

 ৪৪ তম বিসিএস এর  সার্কুলার হয়েছে। ৪৪ তম বিসিএস কি বিশেষ বিসিএস হবে?
না, ৪৪ তম বিশেষ বিসিএস হবে না।

৪৪ বিসএস সার্কুলার ও সিলেবাস:

1. 44th BCS Circular, Preliminary Exam date, BCS Result 2022

2. 44th BCS Preliminary Exam syllabus PDF ডাউনলোড

৪৪ তম বিশেষ বিসিএস সার্কুলার কবে হবে?

সার্কুলার হয়েছে,উপরের লিংকে দেখুন।

৪৪ তম বিশেষ বিসিএস প্রশ্ন কেমন হবে?

অন্যান্য বিসিএস এর মতই।
৪৪ তম বিশেষ বিসিএস কবে হবে?

সার্কুলার দেখুম উপরের লিংক থেকে। ইত্যাদি জানতে চোখ রাখুন আমাদের ওয়েবসাইট এ। নোটিশ আশা মাত্রই আপডেট করা হবে      

বিসিএস পরিক্ষা প্রশ্নের ধরন কেমন হয়?

বিসিএস পরিক্ষায় এমসিকিউ ( মালটিপল চয়েজ কুইশ্চেন) দেওয়া হয়। প্রত্যেক্টি তে ১ মার্ক্স করে। প্রতি দুইটি ভুলেত জন্যে 1 মার্কস কেটে নেওয়া হবে।
বিসিএস প্রশ্নের প্যাটার্ন ঃ
1। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরকে নজরুল তার কোন রচনাটি উৎসর্গ করেন?
ক)
খ)
গ)
ঘ)
উত্তরঃ সঞ্চিতা।
2। নজরুলের প্রথম প্রকাশিত গ্রন্থের নাম কি?
ক)
খ)
গ)
ঘ)
উত্তরঃ ব্যথার দান ( ১৯২২)

এভাবেই চারটি করে অপশন সম্বলিত প্রশ্ন হবে।

বিসিএস পররাষ্ট্র ক্যাডারের সুযোগ সুবিধা ঃ

বিসিএস পররাষ্ট্র ক্যাডারের গেজেটেড হলে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে সহকারী সচিব হিসেবে যোগদান করতে হবে। প্রথমে কাজের চাপ অনেক বেশি থাকবে। টাইপিং থেকে শুরু করে সংসদ অধিবেশন চলাকালীন পার্লামেন্টে ডিউটি করতে হতে পারে পররাষ্ট্র ক্যাডারদের।ট্রান্সপোর্ট সার্ভিস বলতে বাসায় যাওয়া আসা করার জন্য মাইক্রোবাস সার্ভিস থাকবে।ট্রেনিং হবে ঢাকার বেইলী রোডে।

চাকরি পারমানেন্ট হলে দূতাবাসে প্রেরনের জন্য বিবেচনা করা হবে। দূতাবাসে থার্ড সেক্রেটারী(3rd secretary) হিসেবে যোগ দেওয়া হবে তারপর। দুই দেশে 6 বছর কাজ করার পর 3 বছরের জন্য ঢাকায় পোস্টিং হবে। এভাবে প্রর্যায়ক্রমে চলতেই থাকবে।

দূতাবাসে পদায়ন হলে দেশের নিয়মিত বেতনের সাথে অতিরিক্ত
ফরেন ভাতা মাসে ১২০০ ডলার,
বাসা ভাড়া বছরে ২০০০০ ডলার,
দুই জন ছেলেমেয়ের পড়াশুনা বাবদ খরচ,
পরিবারের চিকিৎসার ৯০% খরচ ও
বিনোদন ভাতা মাসে ৩০০ ডলার দেওয়া হবে।

যদিও এসব টাকা দেশে আনতে ট্যাক্স দিতে হবে তবুও পোস্টিংয়ে থাকলে ট্যাক্স ফ্রি গাড়ী কিনতে পারবেন।অনেক ট্রেনিং পাবেন দেশে বিদেশে। ট্রেনিং থেকেও কিছু টাকা পেতে পারেন।

প্রমোশন কম যদি ও বেশিরভাগ ফরেইন ক্যাডার রাষ্ট্রদূত হয়।রাষ্ট্রদূতরা বিদেশে দেশের প্রতিনিধিত্ব করে তাই যেকোন দেশে ভালোই সম্মান পাওয়া যায়।
বিভিন্ন দেশের বড় বড় ব্যক্তি,রাজনিতিবিদের সাক্ষাত পাবেন।বিদেশ ভ্রমণ তো খেয়াল খুশি

বিসিএস এডমিন ক্যাডার পরিচিতি

বিসিএস অ্যাডমিন ক্যাডারে কর্মকর্তা কোথায় কাজ করেন?

বিসিএস এডমিন ক্যাডার বা প্রশাসন ক্যাডার এ চাকরি শুরু হয় একজন সহকারী কমিশনার(assistant commissioner) হিসেবে যার কাজ সাধারণত জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে।
এছাড়া রাষ্ট্রপতির আদেশে কোড অফ ক্রিমিনাল প্রসিডিউর(সিওপি) 1998 অনুযায়ী এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট হিসাবে নির্বাহী আদালতে বিচারকের দায়িত্ব পালন করে থাকেন।

বিসিএস অ্যাডমিন ক্যাডারের কর্মকর্তা কী ধরনের কাজ করেন?

1) নির্বাহী দায়িত্ব পালন করেন যা জেলা প্রশাসন এর জন্যে অর্পিত হয়।
2) সরকারি বিভিন্ন প্রকল্প, কাজ (যেমনঃ পুনর্বাসন প্রকল্প ইত্যাদির) দেখাশোনা ও তদারকি করা।
3)জেলা প্রশাসনের ভূমি, রাজস্ব ও জেনারেল সার্টিফিকেট শাখার বিভিন্ন দায়িত্ব পালন করতে হবে সিনিয়র সহকারী কমিশনার এর অনুপস্থিতিতে।
4)উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ও জেলা প্রশাসক (ডিসি) উনাদের বিভিন্ন কাজ যেমন বাস্তবায়িত সরকারি নীতির রেজাল্ট ও ফিডব্যাক ইত্যাদি তৈরিতে সহায়তা করা।
5) এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট হিসাবে দেশের আইন শৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণ করতে হবে।
6) এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট হিসাবে ভেজাল বিরোধী অভিযান পরিচালনা করতে হবে।
7) এছাড়াও জীবন যাত্রার মান উন্নয়ন ও সুশাসন নিশ্চিতকরণের লক্ষে অনেক সময় মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করতে হবে।
8) এলাকায় বিভিন্ন কার্যক্রমের অনুমতি প্রদান করা, যেমন:মেলা আয়োজনের অনুমতি প্রদান করা ইত্যাদি।
9) যানবাহন বা আগ্নেয়াসস্ত্রের লাইসেন্স দানের কাজ তদারকি করা।

বিসিএস অ্যাডমিন ক্যাডারে নিয়োগপ্রাপ্ত একজন কর্মকর্তার ক্যারিয়ার কেমন হয়?

অ্যাসিস্ট্যান্ট কমিশনার >সিনিয়র অ্যাসিস্ট্যান্ট কমিশনার (উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বা ইউএনও পদমর্যাদা)>ডেপুটি সেক্রেটারি (জেলা প্রশাসক পদমর্যাদা)>জয়েন্ট সেক্রেটারি>অ্যাডিশনাল সেক্রেটারি>সেক্রেটারি

সরকারের বেশিরভাগ ডেপুটি সেক্রেটারি ও তদূর্ধ্ব কর্মকর্তাগণের আসেন প্রশাসন বা এডমিন ক্যাডার থেকে। জাতীয় নীতিনির্ধারণী পর্যায়ে কাজ করতে চাইলে আপনি এডমিন ক্যাডারে যাবার জন্য প্রস্তুতি নিতে পারেন এখন থেকেই।

পুলিশ ক্যাডার এর সুবিধা-আসুবিধা সমূহঃ

  • লজিস্টিক সাপোর্ট ভাল (যেমন রেশন, গাড়ি,বাড়ি সুবিধা)।
  • এই ক্যাডাররা একবারের পাওয়ার প্র্যাক্টিস করতে পারে।
  • কাজের চাপ সবচাইতে বেশি এই ক্যাডারে এমনকি ঈদের দিন ও ডিউটি থাকে;
  • তবে এই ক্যাডারকে রাজনৈতিক সরকার ও নেতারা একবারে নিজেদের স্বার্থে ইউজ করার চেস্টা করে ,
  • আর উপরের দিকে এডিশনাল ডি আই জি থেকে আই জি পি পর্যন্ত যেতে পারে,
  • পোস্ট কম হওয়ায় প্রমোশন কম হয়, একটা লেভেলে গিয়ে আটকে যায়,
  • দুর্বল মনের লোকজনের পুলিশ ক্যাডারে না আসাটাই ভাল।

কাস্টম ক্যাডার এর সুবিধা-আসুবিধা সমূহঃ

  • কাস্টমস ক্যাডাররা অর্থ মন্ত্রণালয়ের আই আর ডি (I.R.D)এর একটি ডিভিশন এন বি আর (N.B.R) এর একটি উইং (কাস্টমস উইং) এর হয়ে কাজ করবেন।
  • কাস্টম ক্যাডারদের অ্যাডমিন/পুলিশ ক্যাডারদের মত পাওয়ার প্র্যাকটিসের সুযোগও অনেক কম।
  • বিভিন্ন পোর্টে কাজের চাপ অনেক বেশি এমনকি অনেক সময় নিশ্বাস ফেলার সময় থাকে না, তবে VAT এ তুলনামূলক কাজের চাপ কম পোর্টের থেকে।
  • মানসিক স্ট্রেস ও অনেক বেশি থাকে এই ক্যাডারে।
  • ঢাকার বাইরে পোস্টিং বেশি যেমন বিভিন্ন বন্ধরে।
  • বৈধ উপায়ে প্রচুর টাকা কামানোর সুযোগ রয়েছে এই ক্যাডারে, যেমন চোরাচালান ও ফাঁকি ধরতে পারলে সরকারিভাবে মূল্যভেদে সেই সম্পদের শতকরা ১০-৪০ ভাগ পুরস্কার দেয়া হয়।
  • লজিস্টিক সাপোর্ট ভাল যেমন গাড়ি ও বাসস্থান সুবিধা রয়েছে।
  • প্রমোশন গ্রোথ অতিরিক্ত কমিশনার (অ্যাডিশনাল কমিশনার) হওয়া পর্যন্ত অনেক ভাল , কিন্তু কমিশনার যুগ্ম-সচিব পদমর্যাদার হওয়ায় অনেকেই ডিএস(DS) লেভেলে গিয়ে স্থায়ীভাবে মন্ত্রনালয়ে যাওয়ার চেস্টা করে পুল সিস্টেমের মাধ্যমে।
  • আর মজার ব্যাপার হচ্ছে এই ক্যাডারের বস হয় NBR এর চেয়ারম্যান উনি আসে আসে সাধারণত অ্যাডমিন ক্যাডার থেকে
  • পুলিশের পর কাস্টম ক্যাডারের পাবলিক ইমেজ খারাপ আবার অনেকর কাছে পুলিশের থেকেও খারাপ , কারণ অতিমাত্রায় দুর্নীতি , অনেক কাস্টমস ইন্সপেক্টরদেরই (দ্বিতীয় শ্রেনীর কর্মকর্তা) অবৈধ আয় দৈনিক গড়ে ত্রিশ হাজার টাকা পর্যন্ত ও নাকি হয়ে থাকে , এ থেকে বুঝে নেয়া যায় এখানে সহকারি কমিশনারদের কি অবস্থা।
  • তবে এই ক্যাডারে ইন্টারনাল পলিটিক্সের কথাও শোনা যায়, তাই সততার বিকল্প নাই ।
  • যাদের পাওয়ার প্র্যাকটিসেরও প্রবল ইচ্ছা আছে, তাদের এই ক্যাডারে না আসাই ভাল।

বিসিএস নিরীক্ষা ও হিসাব ক্যাডারের সুযোগ সুবিধা :

বিসিএস নিরীক্ষা ও হিসাব ক্যাডারে গেজেটেড হলে আপনি মহাহিসাব নিরীক্ষক এর কার্যালয়ে সহকারী হিসাব নিরীক্ষক ও নিয়ন্ত্রক হিসেবে যোগদান করতে হবে।
তবে বিসিএস নিরীক্ষা ও হিসাব ক্যাডারদের পোস্টিং ভেদে ভিন্ন ভিন্ন নাম হতে পারে তবে কাজ প্রায় একই রকম।

সরকারী গেজেটেড কর্মকর্তা-কর্মচারীর বেতন,পেনশন,ট্রেনিং বিল,জ্বালানি বিল ও ক্রয়সহ যেখানেই সরকারী অর্থ ব্যয়ের প্রশ্ন জড়িত সেখানেই এই নীরিক্ষা ও হিসাব ক্যাডারের কাজ। তাই প্রায় সব অফিসেই নীরিক্ষা ও হিসাব ক্যাডারের পদচারণা থাকবে। যেহেতু ভুল ধরা নীরিক্ষা ও হিসাব ক্যাডারের কাজ তাই সব অফিসেই সম্মান পাবে তারা।
ট্রান্সপোর্ট সুবিধার জন্য গাড়ী সুবিধা আছে।

সকল মিনিষ্ট্রি ও বিভাগে প্রায় 49 টি চিফ একাউন্টস অফিসার (Chief Accounts ওফফিচের) এর অফিস রয়েছে । প্রত্যেক অফিসে একজন চিফ একাউন্টস অফিসার (Chief Accounts ওফফিচের) এর অধীনে A-CAO গণ কাজ করেন । এই ক্যাডারে শতকরা 90 জনের পোষ্টিং ঢাকার ভিতরে হয় । নীরিক্ষা ও হিসাব ক্যাডারের সর্বোচ্চ পদ মহাহিসাব নিরীক্ষক ও নিয়ন্ত্রক।

বিসিএস কর ক্যাডারের সুযোগ সুবিধা ঃ

এ ক্যাডারে চাকরি হলে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডে সহকারী কর কমিশনার (Assistant Tax Commissioner) হিসেবে যোগদান করতে হবে। আয়কর বিভাগ সেই বিভাগ যা দেশের জন্য সরাসরি রাজস্ব আদায় করে। আয়কর রিটার্ন দাখিলের সময় কাজের চাপ বেশি থাকে। তবে অন্যসময় কাজ থাকে চাপ এভারেজ থাকে।
সরকারী বেসরকারী যে কোন আয়ের বিষয়ে সিআইসি (CIC) গোয়েন্দা কার্যক্রম পরিচালনা করে থাকেন। উক্ত কার্যক্রমের মাধ্যমে আদায়কৃত রাজস্বের জন্য ইনসেন্টিভ পেয়ে থাকেন।
ট্রান্সপোর্ট সুবিধার হিসেবে গাড়ী সুবিধা পাবেন। পদোন্নতি বেশ ভালোই। বিসিএস কর ক্যাডারের সর্বোচ্চ পদ জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের সদস্য

বিসিএস স্বাস্থ্য ক্যাডার পরিচিতি

বিসিএস স্বাস্থ্য ক্যাডার শুধুই ডাক্তারদের জন্যে এটি প্রফেশনাল বা টেকনিক্যাল ক্যাডার। এ ক্যাডারে প্রিলিমিনারি টেস্ট অন্য ক্যাডারদের মতোই তবে রিটেন এ এমবিবিএস থেকে ২০০ মার্ক্স আছে। বিসিএস লিখিত পরীক্ষায়

পেপার 1 এ থাকে এনাটমি ও ফিজিওলজি আর পেপার 2 তে থাকে প্যাথলজি ও মেডিসিন। জেনে নিন লিখিত পরিক্ষা মেডিক্যাল সাইন্স সিলেবাস ঃMedical Science Syllabus for BCS Written Examination এ ক্যাডারে গেজেটেড হলে প্রথমে উপজেলাতে পোস্টিং হবে দুই বছরের জন্যে রেসিডেন্ট মেডিকেল অফিসার হিসেবে , তারপর উচ্চতর ডিগ্রি হলে মেডিকেল কলেজ এ ট্রেনিং এর জন্যে আসা যায়, আবার কেউ বিসিএস না দিয়ে, আর এম ও থেকে প্রমোশন নয়ে UH&FPO, সিভিল সার্জন, ডেপুটি ইন জেনারেল হেলথ সার্ভিস, সর্বশেষে ডিরেক্টর ইন জেনারেল হেলথ সার্ভিস পর্যন্ত প্রমোশন হতে পারে, তবে উপরের দিকে প্রমোশন কম হয়

বিসিএস ক্যাডারে নিয়োগপ্রাপ্ত একজন কর্মকর্তার মাসিক আয় কেমন?

জাতীয় বেতন স্কেলের নবম গ্রেড(সদ্য বিসিএস প্রাপ্ত রা নবম গ্রেডে চাকরি করে) অনুযায়ী মূল বেতন 22000.00 টাকা। কর্মস্থল অনুযায়ী বাড়ি ভাড়া ও অন্যান্য সব ভাতা মিলিয়ে মাসিক বেতন 35000 টাকা থেকে 40000 টাকা পর্যন্ত।
পরবর্তীতে নবম গ্রেড থেকে প্রমোশন পেয়ে প্রথম গ্রেড পর্যন্ত আসতে পারবেন আর বেতন বাড়তে থাকবে।

বিসিএস ক্যাডারে নিয়োগ পাওয়ার জন্যে কি করতে হবে?

  • প্রথমত,বিসিএস প্রিলিমিনারি পরীক্ষায় পাশ হতে হবে।
  • দ্বিতীয়ত, বিসিএস লিখিত পরীক্ষার জন্য বসতে হবে।
  • তৃতীয়ত, সরাসরি ভাইভা পরীক্ষায় অনেক ভালো ফলাফল করতে হবে।

পরবর্তী ৪৫ ও ৪৬ বিসিএস সার্কুলার কবে হবে

৪৫ তম বিসিএস সার্কুলার কবে হবে?

অনেকেই ধারণা করতেছে এ বছরের নভেম্বরে ৪৫ তম বিসিএস সার্কুলার দিতে পারে পিএসসি। সঠিক ভাবে বলা যাচ্ছেনা, এটি অনুমান মাত্র।

৪৬ তম বিসিএস সার্কুলার কবে হবে?

এখনো যেহেতু ৪৫ তম বিসিএস এর সার্কুলার প্রকাশ পায়নি, তাই ৪৬ তম বিসিএস এর সার্কুলার কখন পাব্লিশ হবে সঠিক ভাবে বলা যাবেনা। ২০২২ এর নভেম্বরে যদি ৪৫ তম এর সার্কুলার আসে, ৪৬ তম বিসিএস এর সার্কুলার ২০২৩ এর ননভেম্বরের আশেপাশে হবে বলে অনুমান করা যায়। তবে সঠিক ভাবে বলা যায়না।

 আসিতেছে: বিসিএস প্রশ্নব্যাংক। বিসিএস মডেল টেস্ট। বিসিএস পরিক্ষা প্রস্তুতি নেওয়ার রুটিন। বিসিএস পরিক্ষার রুটিন। বিসিএস পুলিশ ক্যাডার পরিচিতি। বিসিএস আনসার ক্যাডার পরিচিতি। বিসিএস কাস্টমস ক্যাডার পরিচিতি। বিসিএস ইকোনমিক ক্যাডার পরিচিতি। বিসিএস অডিট ক্যাডার পরিচিতি। বিসিএস ফ্যামিলি প্লানিং ক্যাডার পরিচিতি। বিসিএস ফুড ক্যাডার পরিচিতি। বিসিএস সাস্থ্য ক্যাডার পরিচিতি। বিসিএস শিক্ষা ক্যাডার পরিচিতি।   এগুলো নিয়ে বিস্তারিত আসিতেছে।   কিভাবে বিসিএস ক্যাডার তালিকা চয়েজ দিবেন? কোন ক্যাডারে কি কি সুবিধা ও অসুবিধা রয়েছে? যাবতীয় সব তথ্য আসিতেছে।   বিসিএস পরিক্ষা প্রস্তুতি ও গাইডলাইন এই আর্টিকেল এ কোন ভুল ত্রুটি পেলে জানানোর অনুরোধ জানাচ্ছি। লেখক ও ব্লগার মো নোমান ইসলাম নিরব ৪৬ তম ব্যাচ, রংপুর মেডিকেল কলেজ, রংপুর।      

Leave a Comment