হাপানি নিয়ন্ত্রণে রাখতে যেসব মেনে চলতে হবে
অ্যালার্জি শরীরের জন্য অত্যন্ত ক্ষতিকর একটা জিনিস। কিছু নিয়ম কানুন ভালো মতো মেনে চললে আমরা অ্যালার্জি থেকে মুক্তি পেতে পারি। আজকে আমরা জানবো,
অ্যালার্জি (Allergy), অ্যাজমা (Asthma), ও শ্বাসকষ্ট রােগীদের জন্য করনীয়
১। অ্যালার্জি ও অ্যাজমা কোন কঠিন রােগ নয়, একটু মনােযােগী হলেই এটি নিয়ন্ত্রণে রেখে সম্পূর্ণ সুস্থ থাকা সম্ভব।
২। শােবার ঘরে কার্পেট ব্যবহার করবেন না।
৩। ধুমপান পরিহার করুন।
৪। Aerosol বা মশার কয়েল বা insecticide এ ঘরে ব্যবহারের সময় দূরে থাকুন।
৫। উগ্র সুগন্ধি ব্যবহার করবেন না।
৬। ছােট বাচ্চারা লােমশ পুতুল নিয়ে খেলা করবে না।
৭। ধুলাবালি থেকে দূরে থাকবেন।
৮। ঘর ঝাড় দেবার সময় অন্য ঘরে থাকুনদূরে থাকুন।
৯। ঘর ঝাড় দিতে হলে মাস্ক, তােয়ালে বা গামছা দিয়ে নাক ঢেকে নেবেন।
১০। বিছানা বা কার্পেট ঝাড়ার সময় দূরে থাকুন/মাস্ক ব্যবহার করুন।
১১। বুক সেলফে রাখা পুরাতন খাতা, বই–পত্র অন্য কাউকে দিয়ে ঝেড়ে নেবেন।
১২। টিভি, মশারি–স্ট্যান্ড, (সিলিং) পাখার উপরে জমে থাকা ধূলা–বালি সপ্তাহে একবার অন্য কাউকে দিয়ে পরিস্কার করে ফেলবেন।
১৩। বাস, মােটরগাড়ী বা যানবাহনের ধোঁয়া থেকে দূরে থাকুন।
১৪। শীতের শুরুতে শীতবস্ত্র ধুয়ে ব্যবহার করবেন।
১৫। লেপ ভাল করে রােদে শুকিয়ে ব্যবহার করবেন।
১৬। শীতে উলেন কাপড় ব্যবহার না করে সুতি/জিন্সের কাপড় পরিধান করুন।
১৭। পুরাতন/বাক্সবন্দী জামা–কাপড় ব্যবহার করবেন না। ব্যবহার করতে হলে নতুন করে ধুয়ে ইস্ত্রী করে বা রােদে ভাল করে শুকিয়ে ব্যবহার করবেন।
১৮। স্যাতস্যাতে স্থান এড়িয়ে চলুন।
১৯। ঘাসের উপর দিয়ে হাটা পরিহার করুন।
২০। ছােট বা বড় ফুল ধরা গাছের নিচে/পাশে বসা উচিত নয়।
২১। যেসব খাবারে এলার্জি হতে পারে তা এড়িয়ে চলা উত্তম
মাছ– ইলিশ, চিংড়ি
গােশত– গরুর গােশত
ডিম– হাঁসের ডিম (সাদা অংশ)
সবজি– মিষ্টি কুমড়া, কচু, বেগুন
ফল– আপেল, কলা।
২২। রান্না করার সময় মশলার ঝাঁঝালাে গন্ধ এড়াতে মাস্ক ব্যবহার করুন/বিকল্প ব্যবস্থা নিন।
২৩। ফ্রিজে রাখা খাবার ভালাে করে গরম করে তারপর খাবেন।
২৪। ঘরে ধূপ বা ধােয়া ব্যবহার করবেন না।
২৫। বিছানার চাদর ও বালিশের কভার ০৭ দিন পর পর ধূয়ে ব্যবহার করবেন।
২৬। মশারি সপ্তাহে একবার ধূয়ে ব্যবহার করবেন।
২৭। ঘরে ছারপােকা, তেলাপােকা থাকলে প্রয়ােজনীয় ব্যবস্থা নিন।
২৮। ঠান্ডা পানি/খাবার পরিহার করুন।
২৯। (i) প্রতিদিন সকালে ও বিকালে মুক্ত পরিবেশে বা Well Ventilated কক্ষে ১০ (দশ) মিনিট শ্বাসের ব্যায়াম করুন
(ii) জোরে শ্বাস টানুন
(iii) প্রায় ১৫ (পনের) সেকেন্ড শ্বাস ধরে রাখুন।
(iv) দুই ঠোট শীষ দেওয়ার ভঙ্গিতে আনুন এবং ধীরে ধীরে মুখ দিয়ে শ্বাস ফেলুন।
৩০। শ্বাস কষ্ট বেশী হলে ভেল্টোলিন/এ্যাজমাসল/সালটলিন ইনহেলার ২ পাফ করে ৫ মিনিট পর পর নিবেন।
শ্বাসকষ্ট প্রশমিত না হলে সঙ্গে সঙ্গে চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।
মোঃ নোমান ইসলাম নিরব |
- সর্বদা হাসি–খুশি থাকবেন
- কখনও হতাশাগ্রস্থ হবেন না
- সর্বদা ভয় ও চিন্তামুক্ত থাকবেন।
- ডাক্তারের দেয়া সব নিয়ম/পরামর্শ/ব্যবস্থাপত্র যথাসম্ভব মেনে চলুন।