মেয়েদের যোনিতে চুলকানি হলে করণীয়

ভালো ডাক্তার হওয়ার উপায়

ভালো ডাক্তার হওয়ার উপায় জানতে পড়ুন আজকের ব্লগ পোস্টটি লিখেছেন ডাঃ মোঃ নোমান ইসলাম নিরব

ভালো ডাক্তার হওয়ার উপায় - ডাঃ মোঃ নোমান ইসলাম নিরব
ডাঃ মোঃ নোমান ইসলাম নিরব, এমবিবিএস

আমি একজন নব্য পাশ করা, এমবিবিএস ডাক্তার। সিনিয়রদের কাছেই বেশি জেনেছি সেগুলো তথ্যই আজকে শেয়ার করব আমার জুনিয়র (এমবিবিএস / বিডিএস এ অধ্যায়নরত) ভাই-বোনদের জন্যে এবং ইন্টার্নশিপ এর এই সামান্য অভিজ্ঞতায় কিছু রোগীর মাদ্ধমে কিছু বিষয় জেনেছি ভালো ডাক্তার হওয়ার জন্যে কি করতে হবে এবং রোগীরা কি চায় একজন ভালো ডাক্তারের কাছে।

[রোগীদের কাছে ভালো ডাক্তার কারা এ বিষয়ে জানতে আমাদের এই পোস্ট দেখতে পারেন ]

এখন চলুন মুল আলোচনায় আসি, চলুন জেনে নেই

ভালো ডাক্তার হওয়ার জন্যে একজন মেডিকেল স্টুডেন্ট কি কি করতে পারে

এমবিবিএস লাইফে করণীয় :

এমবিবিএস লাইফ টা ডাক্তার জীবনের গোল্ডেন প্রিয়ড। এমবিবিএস জীবনের মদ্ধে ইন্টার্নশিপ হল গোল্ডেন প্রিয়ড। এমবিবিএস লাইফে যতটুকু সম্ভব ব্যাসিক ক্লিয়ার করার চেস্টা করতে হবে, পাশাপাশি পাশ করার চেস্টা করতে হবে। সাপ্লিমেন্টারী আসলে হতাশ হওয়া যাবেনা, কেউ ৬ মাস আগে, কেউ ৬ মাস পরে, আলটিমেটলি সবাই ডাক্তার হবে। এরপরেই শুর হবে ইন্টার্নিশিপ, এখানে সবচেয়ে বেশি ইফোর্ট দেন, এই সময়ে পড়াশোনা করুন, বেশি বেশি রোগী দেখুন, বিভিন্ন বিষয়ে স্যারদের জিজ্ঞাসা করুন। এই সময়ে স্যারদের শেখা জীবনে সেরাটা শিখতে পারবেন, স্যারদের ইন্টারেস্ট দেখালে স্যাররা অবশ্যই শেখাবে, সুযোগ হলে কোন স্যারের চেম্বারে গিয়ে এসিস্ট্যান্ট হিসেবে ফ্রি ফ্রি কামলা খাঠুন, মাঝে মাঝে আউটডোরে বসুন। ইনশাআল্লাহ ভালো কিছু হবে।

ইন্টার্নিশিপ বা ইন্টার্নিশিপ এর পরেঃ

এমবিবিএস লাইফে বা ইন্টার্নিশিপ বা ইন্টার্নিশিপ এর পরে বিভিন্ন কোর্স করতে পারেন, যেগুলো আপনার ক্লিনিকাল এক্সিলেন্সি বাড়াবে সে কোর্সগুলো করে ফেলতে পারেন। যেমন : সিএমইউ,ডিএমইউ, সিসিডি, এফসিজিপি, সিসিএইচ, ইত্যাদি।

বিশেষজ্ঞ ডাক্তার হতে চাইলে করণীয় ঃ

যতদ্রুত সম্ভব কোর্সে ঢুকে পড়েন, প্রয়োজনে ইন্টার্নিশিপ থেকেই অনলাইনে কোর্স করে এফসিপিএস পার্ট ওয়ান বা রেসিডেন্সি ভর্তি পরীক্ষার জন্যে পড়তে পারেন, যেন দ্রুত চান্স হয়। কোর্স টা দ্রুত শেষ করে ডিগ্রিটা কমপ্লিট করে ফেলুন। আগে জিপি শুরু করলে, কোর্সে ঢুকতে দেরি হয়ে যায়। কেননা টাকার লোভ সামলানো যায়না। পকেটে টাকা শুরু করলে, সেই টাকার উৎস অফ করে আবার পড়াশোনা শুরু করতে কষ্ট হয়ে যায়, তাই আগেই করুন।

জিপি করতে চাইলে করণীয় :

জিপি করতে চাইলে, সাহস করে চেম্বার শুরু করে দিন, প্রথম প্রথম কষ্ট হবে ধীরে ধীরে কনফিডেন্স বাড়বে এবং রোগীও বাড়বে। বিশেষজ্ঞ ডাক্তার।

যে সকল গুন থাকলে আপনি ভালো ডাক্তার হিসেবে পরিচিত হতে পারবেন –

  1. ধৈর্যশীল হোন
  2. সময় নিয়ে রোগী দেখুন, সব কথা শুনুন
  3. রোগীর কষ্টে, নিজেও কষ্ট পেয়েছেন এমন ব্যাবহার করুন।
  4. রোগীর অনেক কথায় রাগ উঠতে পারে, সেটি ঠান্ডা মাথায় শুনুন, কুল থাকার চেষ্টা করুন।
  5. রোগীর সমস্যাটা কি একটু বুঝিয়ে দিন, আপনার প্লান কি, রোগটা কি রকম, রিপোর্ট টি একটু বুঝিয় বলুন
  6. রোগীকে আশ্বাস দিন, সে সুস্থ হবে
  7. আপনার দ্বারা না হলে রোগীকে আপনার সিনিয়রের কাছে রেফার করুন, বিশ্বাস করুন, এতে আপনার রোগী কমেবনা, এই রোগী আবার আসবে অন্য সমস্যা নিয়ে।
  8. অপ্রয়োজনীয় টেস্ট ও ঔষধ দিবেন না।
  9. সবরোগী কে সমান প্রায়োরিটি দিন।
  10. রোগীর গায়ে হাত দিয়ে একটু পরীক্ষা করুন, যদি মুখ দেখেই আপনি বুঝে গেছেন তারপরেও একটু পরীক্ষা করুন, আর বলুন, আপনার সমস্যা আমি বুঝতে পেরেছি, আমি চিকিৎসা দিলে আপনি সুস্থ হয়ে যাবেন। রোগীকে সরাসরি বলিয়েন না আপিনার কোন সমস্যা নেই। তাহলে ভাববে আপনি তার রোগটি ধরতে পারেন নাই। বরং বলুন, আপিনার রোগটি জটিল নয়, এটি নিরাময় হবে। প্রয়োজনীয় কাইন্সিলিংটিকু নিজে করুন।
  11. রোগীদের প্রাইভেট সমস্যা গুলোর জন্যে প্রাইভেসি মেইন্টেইন করুন।

ধন্যবাদ পোস্টটি সম্পুর্ন পড়ার জন্যে –
ডাঃ মোঃ নোমান ইসলাম নিরব, এমবিবিএস (রংপুর মেডিকেল কলেজ)।

Leave a Comment