প্রাইভেট মেডিকেল নিয়ে যেসব প্রশ্ন কমনলি করা হয় এবং খরচ সহ বিস্তারিত জেনে নিন

প্রাইভেট মেডিকেল নিয়ে যেসব প্রশ্ন কমনলি করা হয়

এবার এমবিবিএস কোর্স এর ভর্তি পরীক্ষায় কৃতকার্য হয়েছে প্রায় ৪৯,৯৭৫ জন এর কাছাকাছি স্টুডেন্টস।

বেসরকারি মেডিকেল কলেযে সিট আছে ৬ হাজার এর মত সিট রয়েছে। তার মধ্যে ২০০০-২৫০০ বিদেশি স্টুডেন্ট ভর্তি হয়।তাহলে দেশীয় স্টুডেন্টস এর জন্য ৩৫০০-৪০০০ এর মত সিট রয়েছে।
তাই সবাই চাইলেও প্রাইভেট মেডিকেল কলেজে ভর্তি হতে পারবেনা এজন্যে নিজের পয়েন্ট বিবেচনা করে ফরম তুলবে।যেটাতে পসিবল না সেটার পিছনে ঘুরাঘুরি করে সময় নস্ট করলে পরে সিট ই পাওয়া যাবেনা কোথায়। তাই স্কোর দিয়ে যে গুলোতে পসিবল সে গুলোতে ফরম তুলবে। আমার পরামর্শ থাকবে কমপক্ষে ৫ থেকে ৬ টা মেডিকেল থেকে ফরম তুলবে।সম্ভব হলে আরো বেশি ফ্রম তুলতে পারো। বেসরকারি মেডিকেল কলেজে ভর্তি নিয়ে কারো কোন প্রশ্ন থাকলে কমেন্ট অথবা ইনবক্স করতে পারো।

প্রাইভেট মেডিকেল কলেজ নিয়ে যেসব প্রশ্ন বারবার করা হয় 

প্রশ্ন ১ঃ বেসরকারি মেডিকেল কলেজে কি আলাদা ভর্তি পরীক্ষা হয়?
উত্তরঃ প্রাইভেট মেডিকেল কলেজে ভর্তির জন্যে আলাদা কোন ভর্তি পরীক্ষা হয় না। সরকারি মেডিকেলের জন্য যে ভর্তি পরীক্ষা হয় সেই রেজাল্ট থেকে ভর্তি করা হয়। সরকারি মেডিকেল ভর্তি পরীক্ষায় পাশ করতে হবে অর্থাৎ ৪০ মার্ক্স পেতেই হবে, না হলে প্রাইভেট মেডিকেল কলেজ ভর্তি হওয়া যাবেনা, মার্ক্স যত ভালো হবে তত ভালো প্রাইভেট মেডিকেল কলেজে ভর্তি হতে পারবে।

প্রশ্ন ২ঃ কত মার্ক পেলে বেসরকারি মেডিকেলে ভর্তি হতে পারবো?
উত্তরঃ মেডিকেল এডমিশন টেস্ট এ মিনিমাম 40 মার্ক পেলে ভর্তি হতে পারবে,তবে মার্ক যত ভালো হবে, তত উপরের সারির মেডিকেল গুলাতে ভর্তির সুযোগ ততো বেশি থাকে।

প্রশ্ন ৩ঃ বেসরকারি মেডিকেল কলেজে বর্তমান আসন সংখ্যা কত?
উত্তরঃ 7300 এর মত।

প্রশ্ন ৪ঃ বেসরকারি মেডিকেল কলেজে পড়তে খরচ কত হয়?
উত্তরঃ সর্বমোট 24 থেকে 26 লাখ টাকা খরচ হয়, তবে এর থেকে বেশি খরচ হাতে মানুষ ভেদে।

প্রশ্ন ৫ঃপ্রাইভেট মেডিকেলে দরিদ্র ও মেধাবী কোটা কি?
উত্তরঃ প্রতিটি বেসরকারি মেডিকেল কলেজে এ ৫% দরিদ্র ও মেধাবী কোটায় ভর্তির সুযোগ রয়েছে।

প্রশ্নঃবেসরকারি মেডিকেল কলেজে পড়তে ভর্তি ফি কত হয়?
উত্তরঃ বেসরকারি মেডিকেলে ভর্তি ফি 18/19 লক্ষ টাকা। প্রতি মাসে মাসিক বেতন 8 থেকে 10 হাজার টাকা। সুতরাং ৫ বছরে মোট খরচ 4 লক্ষ 80 হাজার থেকে 6 লক্ষ টাকা। চারটা প্রফেশনাল পরীক্ষায় ফ্রম ফিলাপ ফি সর্বোচ্চ 50 হাজার টাকা। বই-খাতা ও অন্যান্য খরচ বাবদ সর্বোচ্চ 1 লক্ষ টাকা।
সর্বমোট 24 থেকে 26 লক্ষ টাকা।

তবে যাদের মেরিট পেছনের দিকে থাকে তাদের ক্ষেত্রে একটু বেশি খরচ হতে পারে।

প্রাইভেট মেডিকেলে ফর্ম বিতরণ ও ভর্তি প্রক্রিয়াঃ

প্রাইভেট মেডিকেলে আসন 6000 এর মত। এর বিপরীতে ভর্তিযোগ্য প্রার্থী ৪৮ ৯৭৫ জন।
সরকারি মেডিকেল কলেজের ভর্তি প্রক্রিয়া শেষ হলে প্রাইভেট মেডিকেলে ভর্তি ফরম বিতরণ শুরু হবে। এই ফরমের সাথে কোটার ফরম ও তুলতে পারবে ছাত্র-ছাত্রীরা। তবে কোটার ভর্তি প্রক্রিয়া সব শেষে শুরু হবে।
স্ব স্ব মেডিকেল কলেজ তাদের আসন সংখ্যা উল্লেখ করে মেডিকেল কলেজের নোটিশ বোর্ড, ওয়েবসাইটে এবং দৈনিক পত্রিকায় ভর্তি বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে থাকে। ফর্ম কেনার পর যাবতীয় তথ্যাদি পূরণ করে ফর্ম জমা দিতে হয় ঐ মেডিকেলে। ফর্মের সাথে মেডিকেল অ্যাডমিশন রেজাল্টের কাগজ, এসএসসি, এইচএসসির মার্কশিট, সার্টিফিকেট এর সত্যায়িত ফটোকপি জমা দিতে হবে । ফর্ম বিক্রির পর শুরু হয় নির্বাচনী প্রক্রিয়া।ফর্ম জমা নেয়ার পর কয়দিন পর কলেজের নোটিশ বোর্ডে টাঙানো হয় ঐ সব নির্বাচিত ছাত্র ছাত্রীদের নাম ও রোল। ফোন করে জানানো হয় সবাইকে। ১/২ দিনের মাঝে টাকা জমা নিয়ে ভর্তি করানো হয় যদি নির্বাচিত ছাত্র ছাত্রীদের তালিকায় আপনার নাম থাকে। ভর্তির সময় টাকার সাথে আপনার এসএসসি ও এইচএসসির সার্টিফিকেট রেখে দেয়া হবে আপনার মেডিকেলে। এবার এডমিশনে অনেক চাপ। অনেক সময়, মেডিকেল অ্যাডমিশন টেস্টের রেজাল্টের সিরিয়াল পেছনে থাকলে আপনি ১-২টি মেডিকেলে নির্বাচিত নাও হতে পারেন ভর্তির জন্য। যত বেশী মেডিকেলের ফর্ম তুলবেন, ভর্তির জন্য নির্বাচিত হওয়ার সম্ভাবনা তত বেশি থাকে । তবে লোভের বশবর্তী হয়ে ভর্তিতে বেশি দেরি করে ফেলোনা আবার তখন সিটের অভাবে ভালো স্কোর নিয়েও দেখা যাবে আর মেডিকেলে পড়া হচ্ছেনা।

এখানে কোন ভুল থাকলে অবশ্যই জানাবেন।

আরো কোন প্রশ্ন থাকলে নিচে কমেন্ট করে জানান, আমি উত্তর দেওয়ার চেষ্টা করব। 

Leave a Comment