আমেরিকা ও ইউকের তুলনায় বাংলাদেশ ঔষধের দাম কম কেন?

বাংলাদেশ কীভাবে এত কম খরচে ঔষধ বানাতে পারছে?

বাংলাদেশ হচ্ছে স্বল্পোন্নত(LDC) ভুক্ত দেশ। যদিও অর্থনৈতিক হিসেবে বাংলাদেশ ২০১২ সালেই LDC থেকে বের হয়ে গিয়েছে যা বিশ্ব ব্যাংক ২০১৮ সালে জানিয়েছে, ২০২৪ সালে যার পূর্নাঙ্গ হিসেব আসবে। আর স্বল্পোন্নত(এলডিসি) ভুক্ত দেশ গুলো 2033 সাল পর্যন্ত ঔষধ উৎপাদনে কোন প্যাটেন্ট খরচ দিতে হনে না। এর ফলে বাংলাদেশে ঔষধের মূল্য মূল কোম্পানির ঔষধের চেয়েও 25-50 গুন কম দাম যেমন ইউকে তে 1 টি প্যারাসিটামল এর দাম 0.৫৩£ আর বাংলাদেশে ১ টাকা ইউকের হিসেবে ৫০ গুন দাম কম। 

বাংলাদেশ ঔষধের সব কাচামাল চায়না ও ভারত থেকে আমদানি করে থাকে যাকে API বলা হয়। 

মুন্সিগঞ্জে বাংলাদেশ সরকার এপিআই(API) শিল্প কারখানা করছে ফলে ৬০ ভাগ কাঁচামাল সেখানে উৎপাদন হলে ঔষধের দাম আরো কমে যাবে আশা করছি।

এছাড়া সস্তা শ্রমবাজার, বহু কোম্পানির প্রতিযোগিতার কারণে ঔষধের দাম অনেক কম। তবে 2033 সালের পর থেকে বাংলাদেশে ঔষধের দাম অনেক বেড়ে যাবে আশা করা হচ্ছে, কারণ তখন উক্ত ঔষধের মূল কোম্পানি কে প্যাটেন্ট এর টাকা দিয়ে ঔষধ উৎপাদন করতে হবে যা এখন করতে হচ্ছে না LDC ভুক্ত দেশ এর সুবিধা নিচ্ছি বলে। বাংলাদেশের ঔষধ, মূল কোম্পানির ঔষধের চেয়ে অনেক সস্তা এটি অনেকেই এখনো জানে না।

Doctors Gang
Share on:

Leave a Comment

Scroll to Top